করোনা আপডেট: নোয়াখালী, বান্দরবান, দিনাজপুর
নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ও সেনবাগে দুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। এ ছাড়া, দিনাজপুরের হাকিমপুরে নমুনা সংগ্রহের আট দিনের মাথায় আজ বুধবার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসার আগেই মারা গেলেন এক ব্যক্তি। তার ছেলের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। দ্য ডেইলি স্টার স্থানীয় সংবাদদাতারা এ সব তথ্য জানিয়েছেন।
নোয়াখালীতে করোনায় আরও ২ জনের মৃত্যু
নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলায় ও সেনবাগের আরও দুজন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত ৩২ জন করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মোমিনুর রহমান আজ বুধবার দুপুরে দুই জন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এ পর্যন্ত জেলায় এক হাজার ১০১ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৩২ জন মারা গেছেন। সুস্থ হয়েছেন ২৩২ জন। আর, চিকিৎসাধীন আছেন ৪৮ জন।
নোয়াখালী সদর উপজেলা করোনা ফোকাল পার্সন ও মেডিকেল অফিসার ডা. নিলিমা ইয়াছমিন জানান, উপজেলার হরিনারায়নপুর এলাকায় এক নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান।
এ দিকে, সেনবাগ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক পল্লী চিকিৎসক (৩৫) মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তিনি মারা যান।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ফোকাল পার্সন ডা. নির্নয় পাল জনান, সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ওই পল্লী চিকিৎসক করোনার উপসর্গ নিয়ে গত ৩ জুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে নমুনা দিয়ে যান। ৬ জুন তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজেটিভ আসে। তিনি নিজ বাড়িতে হোম আইসোলেশনে ছিলেন।
তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার সকালে আক্রান্ত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, দুপুরে তাকে নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে স্থাপিত কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর, বিকেলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
নাইক্ষ্যংছড়িতে করোনায় বৃদ্ধার মৃত্যু
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে করোনা আক্রান্ত ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা মারা গেছেন। আজ সকালে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু জাফর মো. ছলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ওই বৃদ্ধা গত ৬ জুন কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ রিপোর্ট পান। বান্দরবান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের শনাক্ত রোগীর তালিকায় তার নাম নেই।
তবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের তালিকায় বান্দরবান জেলার রোগী হিসেবে তিনি তালিকাভুক্ত বলে জানান ডা. আবু জাফর।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় করোনাভা এটি প্রথম মৃত্যু বলেও তিনি জানান।
উপসর্গ নিয়ে বাবা মারা গেলেন, করোনা শনাক্ত হলো ছেলের
দিনাজপুরের হাকিমপুরে নমুনা সংগ্রহের আট দিনের মাথায় আজ বুধবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু, আজই মারা যান ওই ব্যক্তি। রিপোর্ট পজেটিভ আসায় তার ছেলে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। ঘটনাটি ঘটেছে হাকিমপুর উপজেলার জাংগই নামক গ্রামে।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস আলী এ প্রসঙ্গে জানান, মারা যাওয়া ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ১০ দিন আগে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনি নিজ বাড়িতে আসেন। জানতে পেরে গত ৩ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাকেসহ পরিবারের নয় জনের নমুনা সংগ্রহ করে। পরে তা পরীক্ষার জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
হাকিমপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাফিউল আলম জানান, আজ বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মৃত ব্যক্তিকে জানাযা শেষে দাফন করা হয়।
Comments