দীর্ঘ বিরতি শেষে ফের চালু হচ্ছে মেসি-রামোসদের লিগ
অপেক্ষার পালা শেষ। আর কোনো সংশয় নেই। করোনাভাইরাসের প্রকোপে প্রায় তিন মাস স্থগিত থাকা স্প্যানিশ লা লিগা পুনরায় মাঠে ফিরতে যাচ্ছে। মাঝের দীর্ঘ বিরতির কারণে আঁটসাঁট সূচিতে খেলতে হবে দলগুলোকে।
বৃহস্পতিবার সেভিয়া ও রিয়াল বেতিসের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে আবার চালু হচ্ছে স্পেনের শীর্ষ ফুটবল আসর। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টায়।
আগামী শনিবার দিবাগত রাত ২টায় পয়েন্ট তালিকার ১৮ নম্বরে থাকা রিয়াল মায়োর্কার মাঠে খেলতে নামবে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। পরদিন রাত সাড়ে ১১টায় ঘরের মাঠে লেগানেসের মুখোমুখি হবে স্পেনের সফলতম ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে বাতিল করা হয়েছে ফরাসি লিগ ওয়ানের ২০১৯-২০ মৌসুম। তবে গেল মাসে নিয়মের কড়াকড়ি নিয়ে প্রথম শীর্ষ লিগ হিসেবে শুরু হয়েছে জার্মান বুন্ডেসলিগা। লা লিগাও ফিরছে একই কায়দায়, নানা ধরনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে।
* বৈশ্বিক মহামারির কারণে গেল ১২ মার্চ থেকে লা লিগার কোনো ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি।
* মোট ২৭ রাউন্ডের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী ২০ দলের আরও ১১টি করে ম্যাচ বাকি। এক মাসের একটু বেশি সময়ের মধ্যে এই ম্যাচগুলো আয়োজন করে আসর শেষ করতে চায় লিগ কর্তৃপক্ষ।
* ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে লিওনেল মেসির বার্সেলোনা। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সার্জিও রামোসের রিয়াল।
* লা লিগার চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বার্সার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি। ১৯ গোল নিয়ে তালিকায় শীর্ষে অবস্থান তার। ১৪ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন রিয়ালের ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
* লিগের বাকি ম্যাচগুলো হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। পাশাপাশি নতুন কিছু স্টেডিয়ামেরও দেখা মিলবে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সংস্কার কাজ চলায় মৌসুমের বাকি সময়টাতে আলফ্রেড ডি স্টেফানো ট্রেনিং গ্রাউন্ডকে ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করবে রিয়াল।
* জার্মান বুন্ডেসলিগা ও ইতালিয়ান সিরি আ’র মতো লা লিগাতেও বদলি খেলোয়াড় তিন জন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ জন করা হয়েছে।
* ম্যাচ শুরুর আগের ২৪ ঘন্টার মধ্যে খেলোয়াড়দের করোনভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে। সফরকারী দল সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে দুটি বাসে করে স্টেডিয়ামে যাবে। তারা বিশেষ বিমান এবং হোটেল ব্যবহার করবে। স্বাগতিক খেলোয়াড়রা তাদের নিজস্ব গাড়িতে করে মাঠে উপস্থিত হবেন।
* প্রতিটি ম্যাচের আগে উভয় দলের খেলোয়াড়দের তাপমাত্রা মাপা হবে এবং তারা মাস্ক ও গ্লাভস পরে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করবেন।
* খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নিরাপত্তাকর্মী, ম্যাচ অফিশিয়াল, গণমাধ্যমকর্মী ও টেকনিশিয়ান মিলিয়ে স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ২৭০ জন ঢুকতে পারবেন।
* মাঠে থুতু ফেলা ও গোল উদযাপনে আলিঙ্গন করার ক্ষেত্রে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা থাকছে না। অর্থাৎ মাঠে এ ধরনের আচরণ করলেও ফুটবলারদের হলুদ কার্ড দেখতে হবে না।
* টেলিভিশনের পর্দায় স্পেনের বাইরের যেসব দর্শক খেলা উপভোগ করবেন, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফুটবল মাঠের প্রকৃত আবহ যেন পাওয়া যায় সেজন্য ‘ভার্চুয়াল’ দর্শক ও শব্দ সংযোজন করে ম্যাচগুলো সম্প্রচার করা হবে।
Comments