চাহিদার তুলনায় কৃষিতে বরাদ্দ অপ্রতুল, অভিমত কৃষি অর্থনীতিবিদদের

করোনা ও সাইক্লোন আম্পানের কারনে দেশের কৃষি ও মৎস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তাদের পুনরুদ্ধারে বাজেট বরাদ্দে সেরকম প্রতিফলন হয়নি বলে মনে করছেন কৃষি অর্থনীতিবিদরা।

তারা বলছেন শত প্রতিকূলতা পেরিয়ে যেহেতু দেশের কৃষকরাই মানুষের খাবারের সরবরাহ নিশ্চিত করে যাচ্ছে তাই কৃষিতে বরাদ্দ আরও বাড়ানো উচিত ছিল। কৃষককে প্রণোদনা না দিতে পারলে কৃষিকে রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যাবে।

অর্থমন্ত্রী আগামী অর্থবছরে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্য নিরাপত্তা খাতে ২২ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন। যা ২০১৯-২০ বর্থবছরে ছিল ২১ হাজার ৪৮৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বিবদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হুমায়ুন কবির বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। বরাদ্দের দিকে তাকালে মনে হয় সরকার যে খুব বেশি মনযোগ দিয়েছে সেটা না। তবে যদি তার সর্ব্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে তবে হয়তো সংকট কিছুটা কাটাতে পারবে।

বাজেত বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে ৩ হাজার ১৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আগামী অর্থবছরে কৃষি ভর্তুকিতে বরাদ্দ থাকবে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিমে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে। আমদানি খরচ যাই হোক না কেন আগামী অর্থবছরেও অপরিবর্তিত থাকবে রাসায়নিক সারের দাম।

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

5h ago