তামিমের অনুরোধে হাসপাতালে জায়গা হলো বিপ্লবের বাবার

বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গাটাও পাকা করে নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তার বাবা আবদুল কুদ্দুস কদিন ধরেই ভুগছেন শ্বাসকষ্টে। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে একের পর হাসপাতালে ঘুরেছেন আমিনুল। কোথাও ভর্তি করাতে পারেননি। পরে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিজের জায়গাটাও পাকা করে নিয়েছেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তার বাবা আবদুল কুদ্দুস কদিন ধরেই ভুগছেন শ্বাসকষ্টে। অসুস্থ বাবাকে নিয়ে একের পর হাসপাতালে ঘুরেছেন আমিনুল। কোথাও ভর্তি করাতে পারেননি। পরে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে বুধবার সন্ধ্যায় ভর্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান।

সবমিলিয়ে কঠিন এক বাস্তবতার মুখোমুখি হলেন বিপ্লব। ডেইলি স্টারকে কঠিন এ সময়ের কথা জানিয়ে বলেন, 'কদিন ধরে বাবার শ্বাস কষ্ট ছিল। আগে থেকেই ছিল গত কয়েকদিন ধরে একটু বেশি অবস্থা খারাপ। তারপর হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসছি।'

'খুব চিন্তায় ছিলাম। দুদিন ধরে ঘুরছিলাম। সব হাসপাতালে নিয়ে যাই। করোনা আতঙ্কে কেউ হাসপাতালে ভর্তি নিচ্ছিল না। টেস্ট করায়, রিপোর্টও দেখে। কিন্তু ভর্তি নেবে না বলে।

'শেষে শ‌্যামলিতে হাসপাতাল আছে সেন্ট্রাল ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ। মনে করেছিলাম ওরা নেবে। কিন্তু ওখানে টেস্ট করানোর পর ওরাও ফিরিয়ে দেয়। পরে রিপোর্ট দেখে ডাক্তাররা বলেন যে, শ্বাস কষ্ট হলেও এটা হার্টের প্রবলেম থেকে হচ্ছে। হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে আসি উনাদের পরামর্শে।

'হার্ট ফাউন্ডেশনও ভর্তি নিতে চাইছিল না। কোনো বিকল্পও ছিল না। তারপর তামিম ভাইকে ফোন দেই। সাব্বির খানকেও ফোন দেই। এরপর তামিম ও সাব্বির ভাই এখানকার ডাক্তারদের ফোন করে ম্যানেজ করে দিয়েছে। পরে ভর্তি করেছে।'

বিপদমুক্ত না হলেও আপাতত তার বাবা ভালো আছেই বলে জানালেন বিপ্লব। তবে শিগগিরই বাড়তি সতর্কতার জন্য করোনাভাইরাস পরীক্ষাও করানো হবে বলে জানান তিনি, 'এখন মোটামুটি ভালো। করোনা টেস্ট করাবে। আইসোলেশনে রাখছে। করোনা টেস্ট করানোর পর সিদ্ধান্ত নেবে।'

এ ঘটনা জানার পর বিসিবি থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে আমিনুলের সঙ্গে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরীও ফোন দিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দরিদ্র মানুষের সাহায্যার্থে গত মার্চে নিজের এক মাসের বেতনের অর্ধেক দান করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেখানে ছিলেন ২০ বছর বয়সী আমিনুলও।

Comments

The Daily Star  | English

Mob justice is just murder

Sadly, when one lynching can be said to be more barbaric than another, it can only indicate the level of depravity of some our university students

1h ago