টেস্ট ক্রিকেট মায়ের হাতের রান্না, টি-টোয়েন্টি ইনস্ট্যান্ট নুডুলস: রানাতুঙ্গা

arjuna ranatunga
ছবি: এএফপি

বর্তমান সময়ের ব্যাটসম্যানদের আগ্রাসী করে তোলার জন্য সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে কৃতিত্ব দিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। তবে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মনে করেন, হালের টি-টোয়েন্টি সংস্করণ ‘ক্ষুধা মেটালেও’ টেস্টের মতো ‘তৃপ্তি দেয় না’।

দর্শকদের পাশাপাশি টেস্টের প্রতি খেলোয়াড়রাও আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে শুরু করেছেন, এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। তাই ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন সংস্করণের অস্তিত্ব নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। টেস্টের জনপ্রিয়তা ফেরাতে আইসিসিও নিয়েছে নানা উদ্যোগ। গোলাপি বলে দিবারাত্রির ম্যাচ ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সেসবেরই অংশ। এতকিছু সত্ত্বেও পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি-না তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই।

৫৬ বছর বয়সী সাবেক তারকা ক্রিকেটার রানাতুঙ্গা অবশ্য এখনও মজে আছেন সাদা পোশাকের ক্রিকেটের প্রেমে। পাঁচ দিনের ম্যাচই তাকে করে পরিতৃপ্ত। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি’র কাছে তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট হলো মায়ের হাতে তৈরি খাবারের মতো। প্রচুর ভালবাসা, যত্ন এবং ধৈর্যসহ তৈরি করা হয়। পুষ্টিকর খাবার। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি হলো ইনস্ট্যান্ট নুডুলসের মতো।’

১৯৯৬ সালে রানাতুঙ্গার নেতৃত্বে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল সেসময়ের নবাগত পরাশক্তি শ্রীলঙ্কা। তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ছিল দেড় যুগ দীর্ঘ। ১৯৮২ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে ৯৩ টেস্ট ও ২৬৯ ওয়ানডে খেলেছিলেন তিনি। উভয় সংস্করণেই তার ব্যাটিং গড় ছিল ৩৫-এর বেশি।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশেষ করে হালের টি-টোয়েন্টি সংস্করণে মারমুখী ব্যাটিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। এই মানসিকতার ছোঁয়া গিয়ে লেগেছে টেস্টেও। অতীতের তুলনায় এখন ব্যাটসম্যানরা বোলারদের উপর অনেক বেশি আগ্রাসন দেখান। আধুনিক ক্রিকেটের এই বৈশিষ্ট্যটিকে ইতিবাচকভাবে দেখেন রানাতুঙ্গা, ‘দশ বছর বা তারও আগে টেস্ট ম্যাচে মারার জন্য পুরোপুরি আলগা বলের অপেক্ষায় থাকত ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু এখন মাঝারি মানের ডেলিভারিতেও তারা শট খেলে থাকে।’

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago