১৩ শর্তে চালু হচ্ছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৩ জুন থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
Banglabandha_Landport.jpg
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর। ছবি: স্টার

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৩ জুন থেকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিসুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. শরীফ হোসেন, আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী হাসান খান বাবলাসহ অনেকে।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্যবিধির পাশাপাশি ১৩টি শর্ত মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আছে, বিদেশি চালকরা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোনো অবস্থাতেই গাড়ি থেকে নামতে পারবেন না। প্রয়োজনে পানি ও শুকনো খাবার সঙ্গে বহন করবেন; বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্থা করবে; চালকরা কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশে অবস্থান করতে পারবেন না; তাদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও বর্হিগমন পথের ব্যবস্থা করা হবে; একটি মনিটরিং কমিটি করা হবে এবং বন্দরের কার্যক্রম সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে।

এর আগে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের আমদানি-রপ্তানিকারকদের মধ্যে বন্দর চালুর বিষয়ে কয়েক দফা বৈঠক ও চিঠি আদান-প্রদান হয়।

পঞ্চগড় জেলা আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে আবেদন করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাবিনা ইয়াসমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধিসহ ১৩টি শর্ত মেনে এই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে গত ২৫ মার্চ থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক ও ইমিগ্রেশন কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছিল। তবে ভারতে আটকা পড়া ১৫৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিভিন্ন সময় এই স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তাদের স্থলবন্দর এলাকায় ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago