শিক্ষকের দাফনে প্রতিবেশীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ
করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ায় চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় আনোয়ারুল ইসলাম (৫৫) নামে এক শিক্ষকের দাফনে গ্রামবাসীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আনোয়ারুল ইসলাম মারা যান। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের জীববিদ্যার শিক্ষক ছিলেন। তার বাড়ি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে। চাকরি সূত্রে তিনি রাঙ্গুনিয়ায় বসবাস করতেন।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, গতকাল রাতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাড়িতেই আনোয়ারুল ইসলামের মৃত্যু হয়। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আজ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া গেছে, তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না।
আনোয়ারুল ইসলামের বড় মেয়ে আঁখি ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গতকাল রাতে আমরা যখন বাবার মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাই, এলাকার লোকজন সহায়তা করা তো দূরের কথা অ্যাম্বুলেন্স থেকেই আমাদের নামতে দেয়নি। তাদের হুমকির মুখে আমরা বাবার কর্মস্থল রাঙ্গুনিয়ায় চলে আসি। রাঙ্গুনিয়ার গাউছিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ ও স্থানীয়রা সহায়তায় বাবার দাফন হয়েছে।’
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুশীল দাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘তারা লাশ নিয়ে এসে আবার চলে গেছে। আমরা জানি না কেন তারা চলে গেছে।’
রাঙ্গুনিয়া (মধ্যম-দক্ষিণ) গাউছিয়া কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসহাব উদ্দিন সরোয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মধ্যরাতে আমরা খবর পেয়েছি যে তাকে রাউজানে দাফন করতে দেওয়া হয়নি। পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন করি। করোনার উপসর্গ থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়েছে।’
Comments