মাদারীপুরে নিখোঁজের ৩ দিন পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় নিখোঁজের তিনদিন পর ধনঞ্জয় বাড়ৈর (২২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের হিজলবাড়ি বিলের কচুরিপানায় ঢাকা ডোবা থেকে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ধনঞ্জয় উপজেলার কদমবাড়ি ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের ধলু বাড়ৈর ছেলে এবং তিনি কদমবাড়ি বাজারে একটি সোনার দোকানের কাজ করতেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে দুই বন্ধু তাকে হিজলবাড়ির বিলে কোচ দিয়ে মাছ ধরার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি ধনঞ্জয়। পরে গতকাল নিহতের পরিবার রাজৈর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে।
আজ সকালে হিজলবাড়ি বিলের কচুরিপানার নিচে একটি মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে পুলিশ ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে এবং স্বজনরা নিশ্চিত করে এটি নিখোঁজ ধনঞ্জয়ের মরদেহ। পরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের পরিবারের দাবি, তাকে হত্যা করে মরদেহ বিলের মধ্যে ফেলা রাখা হয়েছে।
ধনঞ্জয় বাড়ৈর ফুফাতো ভাই আনন্দ বাড়ৈ বলেন, ‘আমার ভাইকে ওর দুই বন্ধু মাছ ধরার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। পরে আর ফিরে আসেনি। ওর বন্ধুদের এ বিষয়ে অনেকবার জিজ্ঞেস করলেও তারা জানি না বলে উত্তর দেয়। আজ মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে শুনি তার দুই বন্ধু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে।’
রাজৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিখোঁজের খবর পেয়েই আমরা ওই যুবককে খুঁজতে থাকি। পরে আজ ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত যুবকের বুকে ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পরে মরদেহ গুম করতে বিলের ডোবায় কচুরিপানা দিয়ে ঢেকে রেখেছিল হত্যাকারীরা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাকে হত্যার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে, হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশের একটি দল কাজ করছে। নিহতের পরিবার এখনো মামলা করেনি।’
Comments