পঞ্চগড়ে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
পঞ্চগড়ে স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দেলোয়ারকে সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের দোমনী-সরকারপাড়া গ্রামে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেলোয়ার হোসেন ওই এলাকার ময়েনউদ্দীনের ছেলে।
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার স্বীকার করেছেন বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পঞ্চগড় থানার উপ-পরিদর্শক হিরণময় চন্দ্র রায় ।
হত্যার ঘটনায় গতকাল রাতেই জোসনার বড় ভাই সফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে জোসনার স্বামী-শাশুড়িসহ পরিবারের পাঁচ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়নের ডাবরভাঙ্গা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে জোসনার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে চার বছরের একটি মেয়ে আছে।
গত কয়েক বছর ধরে কারণে অকারণে প্রায়ই দেলোয়ার তার স্ত্রীকে মারধর করে যৌতুকের জন্য চাপ দিতেন। এ নিয়ে একাধিকবার শালিস বৈঠকও হয়েছে। গতকাল সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কাটাকাটির এক পর্যায়ে দেলোয়ার একটি লোহার রড দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় বেশ কয়েকটি আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। আহত জোসনাকে প্রথমে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল ও পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টা দিকে মারা যান জোসনা।
রংপুরেই রোববার বিকেলে ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দেলোয়ার আমার বোনকে মাঝেমধ্যেই নির্যাতন করত টাকা পয়সার জন্য। আমাদের সাধ্যমত প্রায় সময়ই তাকে দিয়েছি। তারপরও সে নির্মমভাবে আমার বোনকে মেরে ফেলল। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নুসরাত জাহান বলেন, ওই গৃহবধূকে মাথায় ভারী কোন কিছু দিয়ে বার বার আঘাত করার ফলে বেশ কয়েকটি স্থানে গুরুতর জখম হয় যা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।
উপপরিদর্শক (এসআই) হিরনময় চন্দ্র রায় বলেন, দেলোয়ারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Comments