পৌরটোল ও সমাজকল্যাণের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে পৌরটোল ও সমাজকল্যাণের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকেরা।
ছবি: কামরুল ইসলাম রুবাইয়াত

করোনা পরিস্থিতিতে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক থেকে পৌরটোল ও সমাজকল্যাণের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শ্রমিকেরা।

আজ রোববার বেলা ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যানারে শহরের চৌরাস্তায় ইজিবাইক শ্রমিকেরা ঘণ্টাব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন তারা। মানববন্ধনের পাশাপাশি সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দুই মাস লকডাউনের কারণে অধিকাংশ শ্রমিক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। এখন যানবাহন চলাচল শুরু হলেও মানুষের যাতায়াত সীমিত হওয়ায় শ্রমিকদের আয় আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এরপরেও পৌরটোল ও শ্রমিক কল্যাণের নামে রাস্তায় চাঁদাবাজি অব্যাহত থাকায় দিনের পর ‍দিন জমা টাকা পরিশোধ করে সংসারের খরচ চালানো শ্রমিকদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। 

এই অবস্থায় ঠাকুরগাঁও পৌরসভা আবার নতুন করে এই অর্থবছরে ২০২০-২০২১ ইজিবাইকে টোল আদায়ের জন্য দরপত্র আহবান করেছে। অথচ ইজিবাইক শ্রমিকরা গত এক বছর ধরে পৌরটোলের নামে একশ্রণির চিহ্নিত চাঁদাবাজদের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।

পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিবছর পৌর এলাকায় চলাচল করা যানবাহন থেকে পৌর টোল আদায়ের জন্য ইজারাদার নিয়োগ করে পৌরসভা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, নামমাত্র দরে ইজারা দেওয়ার পর বছরব্যাপী চলে অসহনীয় চাঁদাবাজি।

এমন পরিস্থিতিতে তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এই চাঁদাবাজি বন্ধে দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন বলেন, ‘দরপত্রের মাধ্যমে প্রতিবছর ইজারাদার নিয়োগ দিয়ে পৌর টোল আদায়ের করে পৌরসভা। সেটা একেবারেই বন্ধ করার সুযোগ নেই। তবে, করোনা পরিস্থিতিতে ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে পৌর টোল আদায় বন্ধ রাখার আবেদন পেলে বিষয়টি বিবেচনায় আনা হবে।’

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সড়কে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

Comments

The Daily Star  | English
Khagrachhari violence leaves 3 dead

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

3h ago