সিলেট সিটির ১৯ ওয়ার্ড ‘লাল জোন’
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৯টি ওয়ার্ডকেই ‘লাল জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জোন সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলেই এসব ওয়ার্ডে লকডাউন ও অন্যান্য নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম।
বাকি ৮টি ওয়ার্ডের মধ্যে দুটি ‘হলুদ জোন’ এবং ছয়টি ‘সবুজ জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। গতকাল রবিবার এ তালিকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সিটির ১ থেকে ৯, ১২ থেকে ১৪, ১৬, ১৭, ১৯ থেকে ২২ এবং ২৭ নং ওয়ার্ড লাল জোন হিসেবে নির্ধারিত করা হয়েছে। এছাড়াও ১৭ ও ১৮ নং ওয়ার্ড হলুদ এবং বাকি ওয়ার্ড সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে’।
ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শেষ ১৪ দিনের মধ্যে প্রতি ১ লাখ জনসংখ্যার অনুপাতে ১০ জনের বেশি সংক্রমিত হলে সে এলাকা ‘লাল জোন’ হিসেবে এবং ৩-৯ জন সংক্রমিত হলে তা ‘হলুদ জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে’।
এদিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ (সোমবার) করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচল নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এ প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাস বিস্তারের মাত্রা অনুসারে ঘোষিত লাল ও হলুদ জোনের সব ধরনের অফিস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
এই এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের এবং এসব এলাকায় যারা কাজ করেন তাদেরকেও এ সময় ছুটি পালন করতে বলা হয়েছে।
আর, সবুজ জোন হিসেবে ঘোষিত এলাকার অফিসগুলো সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে খোলা থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন এর নির্দেশনা নিয়ে করোনা মোকাবেলায় গঠিত জেলা ও বিভাগীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী লকডাউনসহ অন্যান্য নির্দেশনা বাস্তবায়ন দ্রুত শুরু হবে’।
Comments