পিরোজপুরে তরুণীর ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারত থেকে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী বাদী হয়ে পিরোজপুরের ইন্দুরকানী থানায় দুই ধর্ষক এবং তাদের সহায়তাকারী একজনকে অভিযুক্ত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি দায়ের করেছে বলে জানান ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান।
আজ মঙ্গলবার পিরোজপুর সিভিল সার্জন অফিসে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে মেয়েটির বৈধ কোন অভিভাবক না থাকায় তাকে সেইফ কাস্টডিতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত বলেও জানান ওসি।
ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পলাতক থাকায়, পুলিশ এখন পর্যন্ত ধর্ষকদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান হাবিবুর রহমান।
ভারতে মায়ের সঙ্গে বাস করতেন ওই তরুণী। প্রায় চার মাস আগে ভারত থেকে তিনি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের আমতলি গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর সেখান থেকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীর পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে আসেন। কিন্তু, আপন মামারা আশ্রয় না দেওয়ায়, প্রতিবেশী আরেক মামা তাকে আশ্রয় দেন। পরে মহামারি শুরু হওয়ায় আর ভারতে ফিরে যেতে পারেননি। ওই তরুণী তখন থেকেই প্রতিবেশী মামার বাড়িতে ছিলেন।
গত শনিবার বিকেলে ওই তরুণী স্থানীয় বালিপাড়া বাজারে একটি দোকানে ওষুধ কিনতে যান। সেখান থেকে অভিযুক্ত ওষুধের দোকানদার মনির এবং তরুণীকে আশ্রয়দাতা প্রতিবেশী মামা জাহিদ তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মোড়েলগঞ্জের চর হোগলাবুনিয়া গ্রামের একটি ঘরে সারারাত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করারও অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত ধর্ষকদের বিরুদ্ধে।
Comments