‘করোনার বিরুদ্ধে প্রথম জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ডেক্সামেথাসোন’
ডেক্সামেথাসোন নামে সহজলভ্য ও স্বল্পমূল্যের ওষুধ গুরুতর করোনা আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে সাহায্য করতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের একদল বিশেষজ্ঞ।
গবেষণায় দেখা গেছে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্য নিয়ে বেঁচে থাকা গুরুতর আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই স্টেরয়েডটি স্বল্প পরিমাণে দেওয়া হলে তা মৃত্যুহার এক তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনতে পারে।
যুক্তরাজ্যের গবেষকরা বলছেন, শুরু থেকেই তাদের দেশে এই ওষুধ প্রয়োগ করা গেলে অন্তত ৫ হাজার জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো।
করোনা আক্রান্তের দিক থেকে উচ্চ হারে থাকা দেশগুলোর জন্য এটি সহায়ক হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে পরিচালিত ‘রিকভারি’ নামে পরিচিত এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের বিজ্ঞানীরা একে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় সাফল্য’ হিসেবে দেখছেন।
প্রধান গবেষক অধ্যাপক মার্টিন ল্যান্ড্রে বলেন, ‘পরীক্ষাটি প্রমাণ করেছে যে, ভেন্টিলেশনে থাকা ও অক্সিজেন দরকার হচ্ছে এমন রোগীদের ডেক্সামেথাসোন দেওয়া হলে এটি তাদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করে। ওষুধটি দামেও কম ।’
তার সাথে কাজ করা আরেক গবেষক, অধ্যাপক পিটার হরবি বলেন, ‘প্রদাহ কমানোর জন্য বহুল ব্যবহৃত এই স্টেরয়েডটি এখন পর্যন্ত জানা একমাত্র ওষুধ যেটি মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্য পরিমানে কমিয়ে আনতে সক্ষম।'
প্রতি ২০ জন করোনা আক্রান্তের ১৯ জন এমনিতেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। এমনকি যাদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে তাদের অধিকাংশও সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু অল্প সংখ্যক উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা রোগীর অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেশন দরকার হয়, যাদের জন্য এই ডেক্সামেথাসোন কার্যকর সহায়ক হতে পারে।
বিশ্বে এখন পর্যন্ত, কোভিড ১৯ এর কোনো অনুমোদিত চিকিত্সা বা ভ্যাকসিন নেই। এতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে।
Comments