বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) এর শর্তাবলী চূড়ান্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এটি চূড়ান্ত হয়।

বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান, যিনি দ্বিপাক্ষিক ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন, জানিয়েছেন, দুই দেশ আগামী আগস্ট থেকে এটি কার্যকর করতে একমত হয়েছে।

তিনি বলেন, 'মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নয়, আমরা অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ)-তে সই করতে একমত হয়েছি।'

পিটিএর অধীনে দুই দেশই নির্দিষ্ট কিছু পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাবে। তবে এফটিএ তা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে অধিকাংশ পণ্যে এ সুবিধা পেলেও সরকারের রাজস্ব আয় কমে যায়।

শরিফা খান বলেন, 'দেশজ শিল্পকে সুরক্ষা দিতে আমরা এফটিএর পরিবর্তে পিটিএ সই করতে চাইছি’।

যেমন, বাংলাদেশ চীনের সঙ্গে এফটিএ সই করতে আগ্রহী নয়। কারণ, চীন থেকে পণ্য আমদানিতে শুল্ক হিসেবে সরকার বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।

বাংলাদেশ ভুটান পিটিএ কার্যকর করার জন্য দুই দেশের আইন মন্ত্রণালয় এখন চুক্তির নথিগুলি খতিয়ে দেখছেন বলে জানান শরিফা খান।

চুক্তির কাগজপত্র এ বছরের মার্চে চূড়ান্ত করার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে এই দেরি হলো বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি জানান, বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ পণ্য এবং ইলেকট্রনিক্সসহ ১০০টি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানিতে ভুটান শুল্ক সুবিধা দিতে সম্মত হয়েছে। অন্যদিকে, ভুটানকে ৩৪টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেবে বাংলাদেশ।

ভুটানে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে এবং অন্যদিকে বাংলাদেশেও ভুটানি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে বলে তিনি জানান।

দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতার সদস্য হওয়ায়, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ভারসাম্য বাড়ছে।নেপাল ও ইন্দোনেশিয়ার সাথেও দ্রুতই এমন পিটিএ চুক্তি সই হবে বলেও জানিয়েছেন শরিফা খান।

Comments

The Daily Star  | English

Govt looking to defuse trade tensions with India

Bangladesh does not want any further escalation in tension with India, as the recent retaliatory moves are affecting bilateral trade and both countries’ businesses.

5h ago