বৈশ্বিক ডিজিটাল বিনোদন শিল্প ও আমাদের ভাবনা

গত কয়েকদিন যাবত চলমান ওয়েব সিরিজ বিতর্ক আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। শঙ্কার বিষয় হলো আমরা হয়তো ক্রমেই নিজেদের একটি বৈশ্বিক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ থেকে বিচ্যুত করে ফেলছি। যা বিনোদন খাতের ভবিষ্যতকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

গত কয়েকদিন যাবত চলমান ওয়েব সিরিজ বিতর্ক আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। শঙ্কার বিষয় হলো আমরা হয়তো ক্রমেই নিজেদের একটি বৈশ্বিক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ থেকে বিচ্যুত করে ফেলছি। যা বিনোদন খাতের ভবিষ্যতকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে।

আমরা জানি, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ একটি ডিজিটাল বিপ্লবের নাম। ওয়েব ও মোবাইলের সহজলভ্যতার কারণে সারা পৃথিবীর মানুষ এখন সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টের ভোক্তা। টিভি, সিনেমা বা ওয়েব কনটেন্ট সবই আসলে বিপণন ব্যবস্থার একটি মাধ্যম মাত্র। এই প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের বৈশিষ্ট্য আবার ভিন্ন ভিন্ন। সেই সঙ্গে কনটেন্টের বিষয়বস্তু, নির্মাণের ঢং ও পরিবেশনার ধরন সবই অনন্য। তাই একই দর্শক টিভিতে যা দেখতে পায়, ওয়েবে সে একই কনটেন্ট দেখতে চায় না। ওয়েবের প্রতিটি দর্শকই ইউনিক। তাদের পছন্দ অনুযায়ী আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মগুলো একজন দর্শকের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী কনটেন্ট তৈরি ও বিপণন করে থাকে।

আমরা এমন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যখন পুরো পৃথিবীটাই মানুষের হাতের মুঠোয়। মোবাইল ফোনের এক ক্লিকেই চলতি পথে, বাসে, ট্রেনে, কাজে যাওয়ার সময়  সারা বিশ্বের মানুষের চোখ আটকে থাকে ইন্টারনেটের অবাধ দুনিয়ায়। দর্শকেরা যার যার নিজস্ব পছন্দ মতো অনুষ্ঠান বেছে নেয়। বিশ্বব্যাপী এই অবাধ কনটেন্টের দুনিয়া এক বিশাল অর্থনীতি গড়ে তুলেছে। যার সঙ্গে যুক্ত আছে হাজার মানুষের জীবন এবং জীবিকা। শুধুমাত্র আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত গত চার বছরে এই খাত থেকে নয় হাজার কোটি রুপি থেকে ২০ হাজার কোটি রুপি আয় করেছ। এটার প্রধান চালিকা শক্তি এই ওয়েব প্লাটফর্ম। এই বিশাল বাজার ভারতে এনেছে আরও হাজার কোটি রুপির বৈদেশিক বিনিয়োগ। একই বিনিয়োগ বাংলাদেশেও সম্ভব, শুধু যুগোপযোগী নীতিমালা প্রয়োজন।

নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, জি ফাইভ, হটস্টার, উলু, হইচইসহ হাজারো রকমের ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোই ভারতের এই বিনোদন অর্থনীতির মুল চালিকাশক্তি। মূলত, সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক এই হাজারো প্ল্যাটফর্মের কারণে সিনেমার পরিচিত বিপণন ব্যবস্থাও খানিকটা বদলে গেছে। এখন সরাসরি ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সিনেমা মুক্তি দেওয়া অন্যতম বিপণন কৌশল বলে বিবেচিত হচ্ছে। মূলত হাতের মুঠোয় থাকা ফোনকে সিনেমার পর্দায় রূপান্তর করাই এই বিপ্লবের মূল অস্ত্র। যখন আমরা মুঠোফোনকে খাদ্য ( অনলাইন রেস্টুরেন্ট), গণযোগাযোগ (উবার, পাঠাও), লেনদেন (বিকাশ, নগদ), চিকিৎসা (টেলি মেডিসিন সেবা), তথ্য (গুগল) সহ সকল কাজে ব্যবহার করে থাকি, তখন বিনোদনও যে এটার অন্তর্ভুক্ত হবে তা বলাই বাহুল্য।

এখন প্রশ্ন আসে কনটেন্টের মাপকাঠির। কোনটা তাহলে কার জন্য প্রযোজ্য? আমরা ঠিক যেভাবে সিনেমা হলে ঢোকার পূর্বে বয়স নিশ্চিত করে তারপর তা দেখানোর ব্যবস্থা নিতে পারি, তেমনি অধিকাংশ ওয়েব কনটেন্টই কিন্তু তৈরি হচ্ছে পেইড কনটেন্ট হিসেবে। একজন ভোক্তার সম্মতিতেই শুধুমাত্র তা দেখা সম্ভব। আমাদের এখানে সাম্প্রতিক সময়ে ওয়েব সিরিজ নিয়ে ঘটা চলমান আলোচনার মূল কারণ আসলে পাইরেসি। এই ওয়েব সিরিজগুলো দর্শকের নিজের সম্মতিতে সাবস্ক্রিপশন করে দেখানোর কথা। আমরা জানতে পারি, ‘পাইরেসি’ হয়ে কনটেন্টগুলো ইউটিউবসহ অন্যান্য কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পুরো সিরিজটি পাইরেসি না হয়ে এর বিশেষ দৃশ্য সম্বলিত অংশবিশেষ আসায় এগুলো ভুলভাবে ব্যাখ্যা ও এর ফলে এর সঙ্গে জড়িত শিল্পী, কলাকুশলী ও নির্মাতাদের ব্যাপারে এক ধরনের অপব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

সিনেমায় বয়সভিত্তিক দর্শক নির্বাচন করে, ওয়েবে কিছু কনটেন্ট মুক্ত প্ল্যাটফর্মে, আর কিছু কনটেন্ট পেইড প্ল্যাটফর্মে রাখার মধ্য দিয়ে মূলত কোনটা কোন দর্শকের জন্য তা যাচাই-বাছাই করা খুব কঠিন কোনো কাজ না। দর্শক এবং তাদের বয়স ভিন্নতার চাহিদা বিবেচনা না করে যদি ওয়েব কনটেন্টের কাহিনী বিন্যাসও একই রকম হয়, তাহলে নিশ্চিতভাবে আমরা দর্শক হারাব। বৈচিত্র্যহীনতার সংকটে ইতোমধ্যেই টেলিভিশন ও সিনেমার বাজার সংকচোনের উদাহরণ আমাদের চোখের সামনে বিদ্যমান।তাই মধ্যম আয়ের বাংলাদেশি দর্শক এখন ওয়েব কনটেন্টবলতে নেটফ্লিক্স, আমাজন প্রাইম বা অন্য দেশের কনটেন্টকেই বোঝে। টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করা লোকের সংখ্যাও কিন্তু কম নয়।

বিটিআরসি এবং পিআই স্ট্র্যাটেজির গত বছরের এক সমীক্ষা মতে, বাংলাদেশে শুধু নেটফ্লিক্সের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দুই লাখের উপরে। ফলে, বাংলাদেশে একটি কনটেন্ট বিনিয়োগ না করে বার্ষিক প্রায় ২০০ কোটি টাকার বাজার তৈরি করেছে নেটফ্লিক্স। যার একটি পয়সাও এখনো বাংলাদেশের বিনোদন খাতে বিনিয়োগ হয়নি। ইউরোপে যেখানে নিয়ম করে নেটফ্লিক্সকে লোকাল কনটেন্টে বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, সেখানে আমাদের দেশে এই বিষয়ে কোনো উদ্যোগ ও যুগোপযোগী নীতিমালা না থাকায় আমরা ক্রমাগত আমাদের নিজেদের কনটেন্টের বাজার হারাচ্ছি। আর নেটফ্লিক্স ছাড়া অন্য সব প্ল্যাটফর্মে মোট বাংলাদেশি সাবস্ক্রাইবার ও তার দ্বারা ব্যয়িত অর্থের হিসাব যদি আমরা করি টাকার অংকটা প্রায়  হাজার কোটিতে গিয়ে ঠেকবে বলে ধারণা। একটি আধুনিক নীতিমালা করে এই বাইরে চলে যাওয়া টাকার কিছু অংশ আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কনটেন্ট নির্মাণে পুনবিনিয়োগ না হলে বাংলাদেশের নিজস্ব কনটেন্ট যেমন বৈশ্বিক হবে না, তেমনি এই শিল্পখাতটি আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।  আর এই বাজারের পুরোটা যদি বিদেশী কনটেন্ট ও বিদেশীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্ল্যাটফর্মে পরিচালিত হয় তাতে ভবিষ্যতে দেশীয় সংস্কৃতি আরও গভীর সংকটে পড়বে বলে আমরা মনে করি।

গত এক যুগ ধরে পৃথিবীব্যাপী ইন্টারনেট একটি স্বাধীন ও মুক্ত মত প্রকাশের আধুনিক মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। কনটেন্ট বাছাই করে নেওয়ার সুযোগ একজন দর্শক হিসেবে তার অধিকার। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই বড় পর্দার সিনেমাগুলো তাই সকল সেন্সরের গ্যাঁড়াকল মুক্ত। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অসংখ্য মেধাবী নির্মাতাদের স্বাধীনভাবে গল্প বলার মতো পরিবেশ ও নির্মাণে  বৈচিত্র্যের পথ বন্ধ না করলে দেশের সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টের বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব দিন দিন বাড়বে। সরকার চাইলে কোনটা কোন বয়সী দর্শকের জন্য উপযোগী তা নিয়ে একটি যুগোপযোগী গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করা যেতে পারে।

চলমান ওয়েব সিরিজ বিতর্কের আলোকে এখন প্রশ্ন আসতে পারে– খোলামেলা দৃশ্য বা গালাগালি বা ভায়োলেন্স, এমন দৃশ্য না দেখালেই কি বাজার হাতছাড়া হয়ে যাবে বা দেখালেই কি থাকবে? আমরা মোটেও তা বিশ্বাস করি না। বিশ্বের অনেক দেশেই ওয়েব কনটেন্টের শুরুর সময় এ রকম বিতর্ক ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তার আলোকে আমরা বলতে পারি, দর্শক ও বিনোদনের সব মাধ্যমের অংশীগ্রহণকারীরা আস্তে আস্তে তাদের দেশের উপযোগী একটি আধুনিক নীতিমালা করার কারণে পৃথিবীব্যাপী ওয়েবসিরিজ নামক এই নতুন বিনোদন মাধ্যম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের দেশীয় কনটেন্টের বাজারও প্রসারিত হয়েছে।

আমরাও মনে করি, দেশীয় ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ নিয়েই আমাদেরকে কনটেন্ট নির্মাণ করতে হবে। কিন্তু, যে কনটেন্ট যে প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মিত তা সেই দর্শকশ্রেণির কাছে পরিবেশিত না হয়ে পাইরেসির কারণে কেবল মাত্র ‘বিশেষ কোন অংশ’ দেখিয়ে কোন গোষ্ঠী প্রকৃত কনটেন্টের মূল আলোচনা থেকে ফোকাস সরিয়ে বিষয়টিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করলে এই মাধ্যমটি শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়বে। বাংলাদেশের দর্শকরা যেহেতু পৃথিবীর প্রায় সব দেশের বিখ্যাত সব সিরিজ দেখছে, কাজেই দেশীয় কনটেন্ট বলে এর বৈচিত্র্য ও বিষয়বস্তু কেমন হওয়া উচিত তা নিয়ে এতো তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাওয়া উচিত হবে না। আমাদের আরও  মনে রাখা দরকার, পাইরেসি বা টরেন্ট পথে কনটেন্ট দেখাও কিন্তু এক ধরনের অপরাধ। এই অপরাধ দমনে বিশ্বের প্রায় সব দেশের কনটেন্ট নির্মাতা ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান সোচ্চার। আমাদের দর্শকেরও এই প্রবণতা বন্ধ না হলে, বাংলাদেশের বাজারে লগ্নীকারকেরা ঝুঁকি বিবেচনায় বিনিয়োগে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।

সারা বিশ্বে বাংলায় কথা বলা মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৬০ মিলিয়ন। কাজেই বাংলা ভাষাভাষী দর্শকের এই বিশাল বাজার ধরার জন্য আমাদের একটি উদার ও স্বাধীন নির্মাণ নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে। আমরা ইতোমধ্যেই জানি, ভারতের পশ্চিম বাংলার বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশে শুধুমাত্র ভাষাগত সুবিধার কারণে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে স্বাধীনভাবে নিজের নির্মাণের পথ তৈরি করে এই বিশাল বাজারে আমাদের নিজেদের অংশীদারি বাড়ানো না হলে এই বাংলা ভাষাভাষীদের বাজার আর আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আমাদের মেধাবী নির্মাতাদের সমন্বিত কাজের মাধ্যমে সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্ট বিশ্বের সব শ্রেণির দর্শকের বিনোদিত করবে এই স্বপ্ন আমরা দেখি।

আমাদের দেশে ওয়েব প্লাটফর্মে পথচলাটা যেহেতু খুব নতুন, তাই প্রথমেই কোন বিচ্যুতি বা ভুলভাবে ব্যাখ্যা কারণে এর চলার পথটা থমকে যায় অথবা এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা সাইবার বুলিং-এর শিকার হয় বা বৈচিত্র্যময় কনটেন্ট নির্মাণের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তা বাংলাদেশের বিনোদন শিল্পের জন্য বিরাট অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। শিল্পমাধ্যমের, গণমাধ্যমের বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই বৈশ্বিক সময়ে অন্য সকলের মতো সিনেমা, টিভি বা ওয়েব সিরিজ যা হোক না কেন তার জন্য একটি স্বাধীন মতামত প্রকাশের সুযোগ বাস্তবায়ন ও সেই সাথে পাইরেসি প্রতিরোধ করে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে পরিবেশনার ব্যাপারে একটি আধুনিক নীতিমালা করতে সরকার আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নিবেন এবং এই বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনৈতিক বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করার সুযোগ তৈরি করবেন বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

অভিমতে নির্মাতাগণ: মোরশেদুল ইসলাম, শামীম আখতার, গিয়াস উদ্দীন সেলিম, নূরুল আলম আতিক, পিপলু আর খান, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, আকরাম খান, দীপংকর দীপন, অনিমেষ আইচ, গোলাম সোহরাব দোদুল, বদরুল আনাম সৌদ, কৌশিক শঙ্কর দাশ, নাজনীন হাসান চুমকি, সামির আহমেদ, মেজবাউর রহমান সুমন, মাতিয়া বানু শুকু, রেদওয়ান রনি, নাফিজ রেজা, হাসান তৌফিক অঙ্কুর, ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল, আশুতোষ সুজন, আশফাক নিপুন, মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল, শাহনেওয়াজ কাকলী, শাফায়েত মনসুর রানা, আবু শাহেদ ইমন, খিজির হায়াৎ খান, ধ্রব হাসান, কিসলু গোলাম হায়দার, আদনান আল রাজিব, আরিফুর রহমান, বিজন ইমতিয়াজ, অনম বিশ্বাস, তানিম রহমান অংশু, শঙ্খ দাশগুপ্ত, আফজাল হোসেন মুন্না, কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়, ওয়াহিদ আনাম, রাসেল সিকদার, পিকলু চৌধুরী, মাবরুর রশীদ বান্নাহ, গোলাম মুক্তাদির শান, মাহমুদ দিদার, ইমরাউল রাফাত, হাসান মোরশেদ, আর বি প্রীতম, ইমেল হক, জয়ন্ত রোজারিও, পল্বব বিশ্বাস, সেতু আরিফ, তানিম পারভেজ, মাসুম শাহরীয়ার, সেঁজুতি টুসি, আবু হায়াৎ মাহমুদ, সহিদ উন নবী, সাজ্জাদ সনি, তুহিন হোসেন, আবু রায়হান জুয়েল, আতিক জামান, রাইসুল তমাল, মো. আশিকুর রহমান, নিয়ামুল মুক্তা, শেখ নাজমুল হুদা ইমন, মিজানুর রহমান আরিয়ান, আসাদ জামান, কাজল আরেফিন অমি, ওয়াসিম সিতার, খায়রুল পাপন, সিমিত রায় অন্তর, হাবীব শাকিল, তপু খান, ফয়সাল রাজীব, সাজিন আহমেদ বাবু, শাহরিয়ার পলক, ভিকি জায়েদ, বিশ্বজিৎ দত্ত, প্রীতি দত্ত, রুবেল হাসান, রাফাত মজুমদার রিঙ্কু, মাহমুদুর রহমান হিমি, রুবায়েত মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান আদনান, তৌহিদ আশরাফ, সৌরভ কুন্ডু, সাকী ফারজানা, আবরার আতহার, সেরনিয়াবাত শাওন, আলিফ আহমেদ, ইফতেখার আহমেদ ওশিন, ফয়েজ জুবায়ের, রিয়াদ তালুকদার, অভ্র মাহমুদ, নাজমুল নবীন, আনিসুর রহমান রাজিব, মনিরুজ্জামান জুলহাস, ইমরান আহ্‌মেদ ইমন, রাইসুল ইসলাম অনীক, মেহেদী শাওন, মহিদুল মুহিম, মুহাম্মদ মিফতাহ্ আনান, হাসিব খান, তানভীর খায়ের সানি, জয়নুল আবেদীন শিশির, বিপ্লব ইউসুফ, তানভীর চৌধুরী, হাসান রেজাউল, নাজিম উদ্দীন মন্ডল রাজু, আবু বক্কর রোকন, কে এম সোহাগ রানা, আলোক হাসান, মাহাদী শাওন, এন্ডি আদনান, নিয়াজ নাদভী, মাহমুদুল ইসলাম, মুহাম্মদ তাসনীমুল হাসান, আব্দুল্লাহ আল মুক্তাদির।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago