হাসপাতাল থেকে পালানো করোনা রোগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল থেকে পালানো এক কোভিড-১৯ রোগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পেছনে একটি কাঁঠাল গাছে থেকে ওই ব্যক্তির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
Deadbody_Corona
প্রতীকী ছবি। স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল থেকে পালানো এক কোভিড-১৯ রোগীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পেছনে একটি কাঁঠাল গাছে থেকে ওই ব্যক্তির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সেলিম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আব্দুল মান্নান (৪১) করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ জুন মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পেছনে একটি কাঁঠাল গাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারা খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

ওসি জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে আব্দুল মান্নান হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, আব্দুল মান্নান স্ত্রী ও দুই ছেলে-মেয়েসহ শ্যামলীতে একটি বাসায় থাকতেন এবং ওই বাসার দেখাশোনা করতেন।

নিহতের শ্যালক মুসা আজাদি দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কয়েকদিন আগে আব্দুল মান্নান, তার স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে অসুস্থ বোধ করলে, তারা করোনা পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় তার ছেলে ছাড়া বাকি তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার মেয়ে ও স্ত্রী বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন এবং আব্দুল মান্নান অসুস্থ হয়ে পড়লে, তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

কিন্তু, কী কারণে তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন তা জানাতে পারেননি মুসা আজাদি। তিনি বলেন, মান্নান মুগদা হাসপাতালে একাই ছিলেন। তার চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হচ্ছিল না।

মৃতের শ্যালক আরও জানান, মান্নানের গ্রামের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়িতে। পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি সপরিবারে শ্যামলীতে বসবাস করতেন এবং সেখানে ১২ তলা একটি ভবনের কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করতেন।

Comments

The Daily Star  | English

Don’t stop till the dream comes true

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus yesterday urged key organisers of the student-led mass uprising to continue their efforts to make students’ and the people’s dream of a new Bangladesh come true.

1h ago