সীমান্ত সংঘর্ষ: ভারতের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত উস্কানি’র অভিযোগ চীনের

লাদাখ সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষ নিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে চীন। ওই বিবৃতিতে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত উস্কানি’ দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বেইজিং।
গত সোমবার, গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় সেনা মারা যান। ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ওই সংঘর্ষে উভয়পক্ষই হতাহত হয়েছিল।
বিবিসি জানায়, চীনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিজিয়ান ঝাও বলেন, ‘ভারতীয় সেনারা চীনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালায় এবং “ভয়ানক মারামারি” শুরু করে।’
তবে তিনি কোনো হতাহতের কথা জানাননি।
এর আগে টুইটে ঝাও বলেন, ‘গ্যালওয়ান উপত্যকাটি দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) অনুযায়ী চীনা ভূখণ্ডের অন্তর্ভূক্ত।’
তিনি জানান, গত মে মাসে গালওয়ান উপত্যকা চীনের লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) তে। এখানে ভারত নির্মিত একটি স্থাপনা দুই দেশের সমঝোতার পর ভারত গত মে মাসে ধ্বংস করে এবং সেনা সরিয়ে নেয়।
ঝাও বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনাটি এমন সময় ঘটেছে যখন দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন ভারতীয় সেনারা ইচ্ছাকৃতভাবে এলএসি অতিক্রম করে চীনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করে ও উস্কানি দিতে থাকে। ভারতের সম্মুখ সেনারা চীনা কর্মকর্তা ও সৈন্যদের ওপর সহিংস আক্রমণ চালায়। এর ফলেই মারামারি ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
ঝাও জানান, এপ্রিল থেকে গ্যালওয়ান উপত্যকার এলএসি-তে ‘সড়ক, সেতু ও অন্যান্য স্থাপনা’ তৈরি করে চলেছে ভারত ।
এদিকে গত শুক্রবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটেনি। কেউই আমাদের সীমান্তে প্রবেশ করেনি। সেখানে এখন কেউ নেই। আমাদের নিরাপত্তা চৌকিগুলোও কারো দখলে নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার সম্পূর্ণ ক্ষমতা সামরিক বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে।’
মোদি বলেন, ‘চীনের ওই আচরণের কারণে পুরো দেশ আহত ও ক্ষুব্ধ। ভারত শান্তি ও বন্ধুত্ব চায়। তবে, নিজ ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষাই সবার আগে গুরুত্বপূর্ণ।’
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, ‘গ্যালওয়ান উপত্যকায় চীন আমাদের এলএসি-এর পাশে একটি “স্থাপনা সরানোর চেষ্টা” করলে সংঘর্ষ বাঁধে।’
Comments