কমতে শুরু করেছে তিস্তার পানি, ঘরে ফিরছেন নদী তীরবর্তী মানুষ

Testa_Water.jpg
তিস্তার পানি কমে যাওয়ায় লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধান এলাকার বাসিন্দারা ঘরে ফিরে আসেন। ছবি: স্টার

শনিবার রাত থেকে কমতে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। ঘর ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়া মানুষ ফিরতে শুরু করেছন। তবে চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন সবজি ও ফসল এখনো পানির নিচে ডুবে রয়েছে। তিস্তা পাড়ের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন দেখা দেওয়ায় আগেই অনেকে ঘর-বাড়ি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছেন।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত ও উজানের পানি না থাকায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। আজ রোববার সকালে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে ভাটিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা সড়ক ও রেলসেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি এখনো বিপৎসীমা ছুঁয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গতকাল সকালে হঠাৎ তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে গিয়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্কারপাড়া কালমাটি এলাকার কৃষক আবদার হোসেন জানান, তাদের বাড়ি-ঘরে এখনো নদীর পানি রয়েছে। বিশেষ করে আমনের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

গাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তার চর গড্ডিমারীর কৃষক নফির উদ্দিন বলেন, ‘নদীর পানি বাড়ি-ঘর থেকে নামতে শুরু করেছে। গতকাল আমরা নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়েছিলাম। আজ ফিরে এলাম।’

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামিম আশরাফ বলেন, ‘চর ও নদীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে আমনের কিছু বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দুই-তিন দিন পানির নিচে থাকলে বীজতলার তেমন ক্ষতি হবে না, তবে চার দিন পার হলে বীজতলার ক্ষতি হতে পারে।’

Comments

The Daily Star  | English
Eid-ul-Azha 2025

Main Eid congregation held at National Eidgah

With due religious solemnity and fervour, the main congregation of Eid-ul-Azha was held at the National Eidgah.

1h ago