লিবিয়া হত্যাকাণ্ড: আদালতে ৩ মানবাপাচারকারীর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন মানবপাচারকারী আদালতে আজ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
metropolitan-magistrate-court.jpg
ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত তিন মানবপাচারকারী আদালতে আজ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেওয়া তিন জন হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদশা ফকির ও কবির হোসেন।

আজ রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপরদিকে একই আদালত নাছির উদ্দিন নামের অপর এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন এ চার আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে সিআইডি পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন, বাদশা ফকির ও কবির হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অপরদিকে, নাছির উদ্দিনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকেও কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে, ১৭ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত আসামি কবির হোসেন ও নাছিরের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ১৬ জুন তাদের আটক করে সিআইডি। এরপর পল্টন থানায় মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এদিকে, ১৪ জুন দ্বিতীয় দফায় বাদশা মিয়া ও জাহাঙ্গীর হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত। এর আগে, ৮ জুন তাদের দুই জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ৭ জুন গোয়েন্দা বিভাগের একাধিক টিম রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের হেফাজতে থেকে চারটি পাসপোর্ট, দুটি মোবাইল ফোন ও টাকার হিসাব সংবলিত দুটি নোটবুক উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মে লিবিয়ার সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের মিজদা শহরে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এতে আহত হন ১১ জন। বাংলাদেশিসহ ওই অভিবাসীদের মিজদা শহরের একটি জায়গায় টাকার জন্য জিম্মি করে রেখেছিল মানবপাচারকারী চক্র। এ নিয়ে অভিবাসী শ্রমিকদের ওই চক্রের সঙ্গে মারামারি হয়। এতে এক মানবপাচারকারী নিহত হন। এরই প্রতিশোধ হিসেবে সেই পাচারকারীর লোকজন এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Prisoners, migrants, even the deceased get implicated in cases

10h ago