সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে অটোতে ফেলে আসা ৬১ লাখ টাকা উদ্ধার

ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত বিকাশের ৬১ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগ ভুলে অটোবাইকে ফেলে আসার সাত ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
অটোতে ফেলে আসা ৬১ লাখ টাকা ভর্তি সেই ব্যাগ। ছবি: আলম পলাশ

ব্যাংক থেকে উত্তোলনকৃত বিকাশের ৬১ লাখ টাকা ভর্তি ব্যাগ ভুলে অটোবাইকে ফেলে আসার সাত ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরার ফুটেজের কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারে অভিযান চালিয়ে ওই টাকা উদ্ধার করে চাঁদপুর মডেল থানা ও ডিবি পুলিশ।

চাঁদপুর ডিবি পুলিশের ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিন জানান, বিকাশ কোম্পানির আলমগীর হোসেন জুয়েল চাঁদপুরের ইসলামী ব্যাংক, ইউসিবিএল ও ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে ফরিদগঞ্জের বিকাশের বিভিন্ন এজেন্টের জন্য ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। পরে সকাল সাড়ে ১১টায় বিকাশের মাসুদ নামের এক জনকে দিয়ে টাকাগুলো একটি অটোবাইকে করে শহরের জোড়পুকুর পাড়ে নেওয়া হয়। সেখানে ওই টাকার ৫টি ব্যাগের ৬১ লাখ টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ ভুলে অটোবাইকে রেখে নেমে যান মাসুদ। কিছুক্ষণ পর বিকাশ কর্মকর্তা মাসুদ দ্রুত জোড়পুকুর পাড়ে এসে দেখেন ৬১ লাখ টাকাসহ অটোবাইকটি উধাও হয়ে গেছে। পরে ডিবি পুলিশ বিষয়টি মৌখিকভাবে জানতে পেরে সেখানকার সিসি ক্যামেরায় ওই অটো চালক ও বাইকের ছবি সংগ্রহ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেন। এ ছাড়াও, শহরের তাকে খুঁজতে থাকেন। বিকেলে পুরানবাজারের বাদল নামে একজন ফেসবুকে ৬১ লাখ টাকা খোয়া যাওয়ার ঘটনা দেখতে পেয়ে অটোবাইক চালকসহ বাইকের ছবি দেখে নিশ্চিত হওয়ার পর অটোচালক সজিব সরদারের কাছে বিষয়টি জানতে চান। তখন বাদল বিষয়টি চাঁদপুর মডেল থানায় অবগত করেন। সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাছিম উদ্দিনের নেতৃত্বে পুরানবাজার হরিসভা এলাকা থেকে অটোবাইকের চালক সজিব সরদারের (১৮) গ্যারেজে এসে ওই অটো থেকে ৬১ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

অটো চালক সজিব সরদার বলেন, ‘আমি টাকাগুলো পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। তারপর টাকাগুলো ফেরত দিতে ঘটনাস্থলে প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করি। কিন্ত, কেউ না আসায় আমি আমার পুরানবাজারের গ্যারেজে চলে আসি।’

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি নাসিম উদ্দিন বলেন, ‘টাকা খোয়া যাওয়ার বিষয়ে আগে থেকে থানায় টাকার মালিক আমাদের কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ দেননি। তারপরও আমরা খবর পেয়ে নিজ উদ্যোগে সেই টাকা উদ্ধার করি। তবে, অটোচালক সজিবের টাকা সরিয়ে ফেলার কোনো মনোভাব ছিল না। থাকলে তিন এই টাকা নিয়ে চাঁদপুর থেকে পালিয়ে যেতেন।’

Comments