চমেকে করোনার রিপোর্ট দেওয়া বন্ধ, কোথায় পাওয়া যাবে বলছে না কেউ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) হঠাৎ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। রিপোর্ট কোথায় কখন পাওয়া যাবে- উত্তর মিলছে না সেটারও।
চমেক হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া বন্ধের নোটিশ। ছবি: স্টার

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) হঠাৎ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। রিপোর্ট কোথায় কখন পাওয়া যাবে- উত্তর মিলছে না সেটারও।

চমেকের নিচ তলায় মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে যেখানে এতদিন করোনার রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল সোমবার সকালে সেখানে নোটিশ লাগিয়ে বলা হয়েছে ‘এখানে রিপোর্ট দেওয়া হয় না’।

ভাইয়ের কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে আসা নগরীর চান্দঁগাও আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম স্বপন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করে রিপোর্ট নিতে পারিনি। যেখানে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছিল, সেখানে আজ নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।

‘নোটিশে লেখা আছে “রিপোর্ট দেওয়া হয় না’। কোথায় রিপোর্ট পাওয়া যাবে সেটাও কেউ বলছে না। এখানে মানুষ এসে অপেক্ষা করে ফিরে যাচ্ছে। রিপোর্ট নিয়ে কথা বলার মতো কোনো লোকও পাওয়া যাচ্ছে না’, বলেন স্বপন।

চমেকে দুটি পিসিআর মেশিনে প্রতিদিন ৩৫০ জনের পরীক্ষার সক্ষমতা থাকলেও মাত্র ১০০ থেকে ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

মাইক্রোবায়োলজি ডিপার্টমেন্টের কোভিড-১৯ ল্যাবের ইন-চার্জ ডা. আবুল কালাম আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নোটিশের বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

তার দাবি, চমেকের পূর্ব গেটে তাদের ডিপার্টমেন্টের সামনে রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে গিয়ে দেখা যায় গেট বন্ধ, রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না।

তাহলে নিচ তলা ৩০ নম্বর কক্ষের সামনে এ নোটিশ ঝুলছে কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন আরেকটা নোটিশ দিয়ে দিচ্ছি। তিনি রিপোর্ট করার সময় যাচাই-বাছাই করার জন্যও প্রতিবেদককে অনুরোধ করেন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago