‘সন্ত্রাসী প্রকৃতি’র অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ১১ সদস্যের অনাস্থা

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে অনাস্থা কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন পরিষদের ১১ সদস্য।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা। ছবি: স্টার

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে অনাস্থা কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন পরিষদের ১১ সদস্য।

আজ দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ১১ ইউপি সদস্যের পক্ষে এই দাবি জানান মোতাহার হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে মোতাহার হোসেন বলেন, ‘বাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী রেজা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তিনি নিজের ইচ্ছামত ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করেন। কোন কিছু জানতে চাইলে ইউপি সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছেন।’

‘মাসিক সভা না করে একক সিদ্ধান্তে অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও, বিগত দিনে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি অর্থ, গৃহহীনদের ঘর বরাদ্দ, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ বিভিন্ন কার্ডের বিপরীতে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।’

‘অপর দিকে ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এনজিও) দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চলতি ও বকেয়া ট্যাক্সের আদায় করা ১২ লাখ টাকা পরিষদের তহবিলে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান কাজী রেজা আত্মসাৎ করেছেন,’ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

গত ১৭ মে ইউপি সদস্যরা জরুরি সভা করে চেয়ারম্যান কাজী রেজার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনাসহ তার অপসারণ দাবি করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মোতাহার হোসেন, মজিবুর রহমান, মজিবুর পীরসাহেব, মহিদুর রহমান খান, আব্দুল করিম, নূরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, বাসিয়া বেগম, সামসুন্নাহার ও বিলসিক বেগম।

অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর চেয়ারম্যানের লোকজন ইউপি সদস্যদের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যরা জানান, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থার বিষয়টি জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেওয়ার পরও হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এখনো তদন্ত করেননি। দুই এক দিনের মধ্যে চেযারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অনাস্থা প্রস্তাব তদন্ত না হলে ইউপি সদস্যরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে অনশন করবেন বলেও হুমকি দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ফৌজিয়া খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বাল্লা ইউপি সদস্যদের অভিযোগ পাওয়ার পর হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন।’

‘বিষয়টি তদন্তাধীন আছে,’ উল্লেখ করে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘গৃহ-নির্মাণের নামে চেয়ারম্যান তার (ইউএনও) নামে টাকা আদায় করেছে এমন অভিযোগ ইউপি সদস্যরা তার কাছে করেনি।’

বাল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রেজা ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘আমি কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতি করিনি। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের একটিও তারা প্রমাণ করতে পারবে না।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago