খাঁচায় থেকেই বাচ্চা দিল দুর্লভ লজ্জাবতী বানর
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বন্যপ্রাণী সেবাশ্রমে আবারও এসেছে নতুন অতিথি। ফাউন্ডেশনের খাঁচার ভেতরে একটি লজ্জাবতী বানর বাচ্চা দিয়েছে। শাবক সুস্থ আছে এবং মায়ের দুধ পান করছে। মা বানরটি সারাক্ষণ শাবকটিকে বুকে আগলে রাখছেন। কোল থেকে কিছুতেই ছাড়ছেন না মা। এই দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন আশপাশের দর্শনার্থীরা।
শ্রীমঙ্গলের বন্য প্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক সজল দেব বলেন, সোমবার ভোরে শাবকের জন্ম হয়। কিন্তু মা বানরটি এমনভাবে আগলে রেখেছিল যে শাবকটিকে দেখাই যাচ্ছিল না। আজ একটু দেখা যাচ্ছে। শাবকের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জন্মের পর শাবকটিকে তার মাসহ আলাদা করে পৃথক খাঁচায় রাখা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সেবাযত্ন ও খাবার দেওয়া হচ্ছে।
মা বানরটিকে সাত বছর আগে শ্রীমঙ্গলের একটি গ্রামে আহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। ২০০৯ সালের এপ্রিলে বন্দী অবস্থায় এভাবেই তিনটি বাচ্চার জন্ম দিয়েছিল অপর তিনটি লজ্জাবতী বানর।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মোনায়েম হোসেন বলেন, ‘লজ্জাবতী বানর নিশাচর এবং উঁচু গাছে বাস করে। এরা সাধারণত একা বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। গাছের ডালে এরা ধীরগতিতে চলাচল করে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসিএফ) তবিবুর রহমান বলেন, প্রতিনিয়তই পাহাড়-টিলার বনজঙ্গল উজাড় হচ্ছে বলে আবাসস্থল হারিয়ে দুর্লভ লজ্জাবতী বানরগুলো লোকালয়ে চলে আসছে। লজ্জাবতী বানর নিশাচর প্রাণী। রাতে পর্যটকদের উৎপাতে এদের প্রজননসহ স্বাভাবিক জীবন চক্র ব্যাহত হয়।
Comments