পাবনায় কোভিড পজিটিভদের ৯০ শতাংশই শনাক্ত হয়েছে গত ৩ সপ্তাহে

সাধারণ ছুটি প্রত্যাহারের পর পাবনায় গত তিন সপ্তাহে করোনা ভাইরাস বিস্তারের গতি বেড়েছে ব্যাপক হারে। জেলায় এখন পর্যন্ত কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৩৩৬ জন। এদের মধ্যে শেষ তিন সপ্তাহেই শনাক্ত হয়েছেন ৩০০ জন যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৯০ শতাংশ।
Pabna_DS_Map
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সাধারণ ছুটি প্রত্যাহারের পর পাবনায় গত তিন সপ্তাহে করোনা ভাইরাস বিস্তারের গতি বেড়েছে ব্যাপক হারে। জেলায় এখন পর্যন্ত কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন ৩৩৬ জন। এদের মধ্যে শেষ তিন সপ্তাহেই শনাক্ত হয়েছেন ৩০০ জন যা মোট আক্রান্তের প্রায় ৯০ শতাংশ।

সিভিল সার্জন অফিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রধান ডাক্তার আব্দুর রহিম দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘গত ১৬ এপ্রিল পাবনায় প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। এর পরের ১৫ দিনে শনাক্ত হন মোট ৩৬ জন।’

‘ঈদের পর জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে পাবনায় শনাক্ত ৩৩৬ জনের মধ্যে ৩০০ জনই শনাক্ত হয়েছেন ১ থেকে ২২ জুনের মধ্যে।’

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যার বিচারে এই জেলায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে সদর উপজেলা। শনাক্তদের মধ্যে ২০১ জনই সদর উপজেলার।

শনাক্ত বিবেচনায় রাজশাহী বিভাগের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাবনা। এখানে করোনায় পাঁচ জনের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। একই সময়ে জ্বর-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দ্রুত সংক্রমণ বাড়লেও এই জেলার কোনো এলাকায় কার্যকরভাবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মেহেদি ইকবাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রোববার পাবনা জেলা কোভিড ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন না করে শুধু আক্রান্ত রোগীদের বাড়ি লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাড়ি লকডাউন করে আক্রান্তের হোম আইসলেশন নিশ্চিত করা গেলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। এজন্য পুর এলাকা লকডাউন করার প্রয়োজন নেই।

তবে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি লায়ন বেবি ইসলাম। তিনি বলেন, সংক্রমণ বাড়লেও পাবনায় কোথাও নিয়ম মানা হচ্ছে না। সম্ভাব্য আক্রান্তরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও পরীক্ষা করাতে পারছেন না। আক্রান্তরা শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English

3 quota protest leaders held for their own safety: home minister

Three quota protest organisers have been taken into custody for their own safety, said Home Minister Asaduzzaman Khan

Now