পড়াশোনা না ছাড়ায় হত্যার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাস করলেন সুমাইয়া

পড়াশোনা না ছাড়ায় নাটোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, চলছে অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান।
মেয়ে সুমাইয়া খাতুনকে সমাবর্তনের হ্যাট পড়িয়ে দিচ্ছেন মা নুজহাত সুলতানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের দিনে তোলা। ছবি: সংগৃহীত

পড়াশোনা না ছাড়ায় নাটোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এরইমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, চলছে অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান।

তার মধ্যেই খবর এলো কৃতিত্বের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন সুমাইয়া।

আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার প্রকাশিত ফলে সুমাইয়া সিজিপিএ ৪ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৪৪ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন। বিভাগের চেয়ারম্যান ড. শামসুল আলম মোবাইল ফোনে আজ দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

শামসুল আলম বলেন, ‘সুমাইয়া খুবই মেধাবী ছাত্রী ছিল। তার এমন মৃত্যু শিক্ষকরা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। আমরা সবাই চাই সুমাইয়ার পরিবার যেন সুবিচার পায়।’

মেয়ের পরীক্ষার ফল জানার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা।

‘সুমাইয়ার আশা ছিল সিজিপিএর ৪ পয়েন্টের মধ্যে ৩.৫ এর বেশি করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে চেয়েছিল সুমাইয়া,’ কান্নাভেজা কণ্ঠে বলছিলেন সুমাইয়ার মা।

গত রবিবার সুমাইয়া অসুস্থ হয়ে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি, এমন খবরে তার মা হাসপাতালে গিয়ে দেখেন মর্গে মেয়ের মরদেহ পড়ে আছে।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে নাটোর সদর থানায় মা নুজহাত সুলতানা সুমাইয়ার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

এরইমধ্যে সুমাইয়ার শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা ও ননদ জুঁই খাতুন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানিয়েছেন, সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন ও শ্বশুর জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago