ইইউ ভ্রমণে ‘নিরাপদ’ দেশের তালিকা, বাদ পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের জন্য একটি নির্দেশিকা তৈরি করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশন।
সিএনএন জানায়, ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের যাত্রীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে, নিশ্চিত করে এখনো দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসের তীব্রতার মধ্যেই ইইউ সদস্য দেশগুলো একমত হয়েছে , আগামী ১ জুলাই থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হতে পারে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশগুলো কী পদক্ষেপ নিয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে দিকনির্দেশনা তৈরি করা হবে।
ইইউ’র এক কূটনীতিক জানান, কমিশনের ওই সুপারিশ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক না। কেবল একটি দেশের সরকারই তাদের সীমানা খোলার এবং বন্ধ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ইউরোপে ভ্রমণ নিষিদ্ধ হতে পারে এমন দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র আছে কিনা জানতে চাইলে ইইউ’র এক কূটনীতিক সিএনএনকে গত ১১ জুন প্রকাশিত একটি চেকলিস্টের কথা জানান। ওই চেকলিস্টে ইইউতে প্রবেশের অনুমতি দেয়ার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় বিবেচিত হবে তার নির্দেশনা দেওয়া আছে।
তাতে বলা হয়েছে, দেশটির মহামারির পরিস্থিতি ইইউ অঞ্চলের তুলনায় ভালো কিনা তা জানতে হবে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণের গতিবিধি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সংক্রমণের গতিবিধি অনুসরণ করে আক্রান্তদের খুঁজে বের করা, ভাইরাসটির বিস্তার নিয়ন্ত্রণ, আক্রান্তদের চিকিৎসা ও প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিবেদনে আসছে কিনা এসবের ওপর ওই দেশের মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনা করা হবে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ব্রাসেলসের আলোচনার পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের নাগরিকদের ইইউতে প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হতে পারে।
আগামী ১ জুলাই থেকে ইইউর দেশগুলোতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল এবং উত্তর ম্যাসিডোনিয়াসহ কয়েকটি দেশ থেকে যাত্রী প্রবেশে বিধি-নিষেধ চালু হতে পারে। তবে চীন থেকে ভ্রমণে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। পলিটিকোতে প্রকাশিত প্রাথমিক তালিকায় প্রায় ৫০ টি দেশের সঙ্গে ইইউ পুনরায় ভ্রমণ চালু করতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
করোনা মহামারিতে বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশটিতে ২৩ লাখ ৪৭ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ২১ হাজার ২২৫ জন।
Comments