করাচি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ‘করোনা উদ্বেগে’ মনোযোগ হারান পাইলটরা

পাকিস্তানের করাচিতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার আগে পাইলটরা 'করোনা মহামারি' নিয়ে আলাপে মনোযোগ হারান বলে জানিয়েছেন দেশটির বিমান পরিবহন মন্ত্রী গোলাম সরোয়ার খান।
গত ২২ মে করাচির আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয় যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ। প্রাণ হারান ৯৭ আরোহী। ফাইল ফটো রয়টার্স

পাকিস্তানের করাচিতে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার আগে পাইলটরা 'করোনা মহামারি' নিয়ে আলাপে মনোযোগ হারান বলে জানিয়েছেন দেশটির বিমান পরিবহন মন্ত্রী গোলাম সরোয়ার খান।

গত ২২ মে, লাহোর থেকে করাচির উদ্দেশে রওনা হয়ে করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের (পিআইএ) ফ্লাইট ৮৩০৩ একটি আবাসিক এলাকায় ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনায় ৯৭ আরোহী প্রাণ হারান।

আজ বুধবার, দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন পাকিস্তানের পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন মন্ত্রী।

তিনি জানান, বিমান চালক ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তারা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করেননি, এতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উড়োজাহাজটিতে কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল না। বিমান চালানোর সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলতে গিয়ে পাইলটরা ‘মনোযোগ হারান’।

ককপিট ভয়েস রেকর্ডারে পাইলট এবং সহ-পাইলটের মধ্যে আলোচনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,’দুর্ভাগ্যজনকভাবে, তারা অবতরণের আগে করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করছিলেন। করোনা তাদের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। নিজেদের পরিবারে এর প্রভাব ও মহামারির পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করছিলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘উড়োজাহাজটি শতভাগ ত্রুটিমুক্ত ছিল। পাইলট, সহ-পাইলটরা অভিজ্ঞ ছিলেন। বিমান চালানোর জন্য শারীরিকভাবেও তারা ফিট ছিলেন।

তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাইলট শেষ সময়েও উড়োজাহাজের কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করেননি।

গোলাম সরোয়ার খান জানান, বিমানটির ২ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় থাকার কথা থাকলেও সেটি রানওয়ে থেকে ১০ মাইল দূরে ৭ হাজার ২২০ ফুট ওপরে ছিল।

এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল সেসময় পাইলটের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। অন্য জায়গায় বিমানটি নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সেখানে অবতরণ না করার পরামর্শ দেয়। পাইলট সে নির্দেশনাকে উপেক্ষা করেন।

তিনি বলেন, ‘যখন তারা অবতরণ করতে যাচ্ছিল, তখনও নিয়ন্ত্রণকারীরা সতর্ক করে। কিন্তু পাইলট সেসময় বলেন, “আমি সামলে নেবো” ... এরপরে তারা আবারও করোনার বিষয়ে আলোচনা শুরু করেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka-dwellers continues to deplete at a dramatic rate and threatens to disappear far below the ground.

1h ago