আরও ৩ জনসহ করোনায় মারা গেলেন ৫০ চিকিৎসক, উপসর্গে ৮
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল বুধবার ঢাকায় দুজন ও চট্টগ্রামে একজন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন অর্ধশত চিকিৎসক।
গতরাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা গেছেন রাজধানীর আল-মানার হাসপাতালের পরিচালক ও ডায়াবেটিস স্পেশালিষ্ট ডা. মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
হাসপাতালের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ডা. মো. সাইফুল ইসলাম দুই সপ্তাহেরও বেশি আগে করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর থেকে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।’
রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেসরকারি ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ডা. ইউনুস আলী খান।
গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি মারা যান বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটির (এফডিএসআর) যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করার পর ডা. ইউনুস আলী খান গত ৫০ বছর ধরে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুরে নিজ এলাকায় মানবসেবায় নিয়োজিত ছিলেন। চলমান কোভিড-১৯ মহামারিতেও তিনি রোগী দেখা অব্যাহত রেখেছিলেন।’
করোনায় মারা গেছেন চট্টগ্রাম আই ইনফার্মারির চিকিৎসক (অবসরপ্রাপ্ত) ডা. শহিদুল আনোয়ার।
গতরাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
চমেক অধ্যক্ষ ডা. শামীম হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. শহিদুল আনোয়ার চমেকের ১৫তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। গতকাল মধ্যরাতে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এফডিএসআর’র যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী জানান, এই তিন জন চিকিৎসককে নিয়ে করোনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও ৮ জন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন:
Comments