সাংবাদিক কাজলের মুক্তির দাবিতে ৭২ লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মীর বিবৃতি

অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলায় হাতকড়া পরিয়ে আদালতে হাজির করা হয় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে। ফাইল ছবি

সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের মুক্তির দাবি জানিয়ে দেশের ৭২ লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মী বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেছেন, ‘শুধু লেখার অপরাধে, ছবি তোলার অপরাধে, আঁকার অপরাধে, চিন্তার অপরাধে, সংবাদ পরিবেশনের অপরাধে কাজলের মতো অনেকেই আজ রাষ্ট্রের কাছে বন্দী। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান করি, চিন্তার হাতকড়া খুলে দিন। কাজলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।’

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন— খুশী কবির, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক মানস চৌধুরী, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, সামিনা লুৎফা, শহিদুল আলম প্রমুখ।

‘আমরা উদ্বেগজনকভাবে লক্ষ্য করলাম, সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে ডিএমপির তিনটি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে আলাদা তিনটি মামলা হয়েছে। সেগুলোতে এতদিন ধরে তাকে এরেস্ট দেখানো হয়নি বলে আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে তিনি জামিনের আবেদনও করতে পারেননি। সংবাদমাধ্যম মারফত জানা গেল, নিখোঁজের ১০৮ দিন এবং পুলিশ হেফাজতে থাকার ৫২ দিন পরে আগামী ২৮ তারিখেই তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর কথা এবং সেই সাথে রয়েছে তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন, যা আমাদের সকলকে উদ্বিগ্ন করছে।’

নিজের মত প্রকাশের জন্য কাজলকে কারাবন্দী হতে হয়েছে অভিযোগ করে তারা আরও বলেন, ‘কাজল যেদিন নিখোঁজ হয়েছিলেন তার ১০৩ দিন পর আজ যখন আমরা এই বিবৃতি জানাচ্ছি, আমাদের বার বার মনে হচ্ছে একজন সাংবাদিক, একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক রাষ্ট্রের একটি সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলেছেন বলে তাঁকে এভাবে হেনস্তা হতে হবে? মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সাংবিধানিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও, মতপ্রকাশের ‘অপরাধে’ একজন আলোকচিত্রীকে এভাবে কারাবন্দী জীবন যাপন করতে হচ্ছে, এটা নাগরিক হিসাবে আমাদের প্রত্যেকের জন্য উদ্বেগের। আমরা মনে করি, কাজলকে বন্দি করে রাখার মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের পরিবেশকে নিদারুণভাবে রুদ্ধ করা হয়েছে। বিচারহীনতা এবং ভয়ের সংস্কৃতিতে এই ধরনের অন্যায্য তৎপরতা চলছেই।’

কাজলের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে তারা বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে এই দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টিকে মাথায় রেখে অন্য সকল বন্দির সঙ্গে এই মানুষটিকেও তার পরিবারের কাছে তুলে দেবার জোর দাবি জানাই।’

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

11h ago