বাড়ছে তিস্তা-ধরলার পানি

লালমনিরহাটের ২১টি ইউনিয়নে দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

Lalmonirhat_Testa_Dhorola.jpg
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের শিবেরকুটি এলাকার পানিবন্দি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের যাচ্ছেন। ছবি: স্টার

লালমনিরহাটে জেলার প্রধান দুই নদী তিস্তা ও ধরলাসহ ১০টি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নতুন নতুন এলাকা। আজ শনিবার সকাল থেকে হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি সদর উপজেলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবদুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন. ‘অবিরাম বৃষ্টিপাত আর উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার নদীগুলোর পানি বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে।’

চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় ফসল নষ্টের আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তারা ধারণা করছেন, আমনের বীজতলা ও বাদাম সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে প্রায় শতাধিক গ্রামের দেড় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

আদিতমারী উপজেলায় তিস্তার বুকে চর নরসিংহের কৃষক নফের উদ্দিন (৬৭) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এই চরের তিন শ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। কয়েকটি পরিবার মূল ভূ-খণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে। তিস্তার পানি আরেকটু বাড়লে তারাও চর ছেড়ে চলে যাবেন।

সদর উপজেলায় তিস্তাপাড়ের বাগডোরা এলাকার সাহেরা বেওয়া (৫৮) বলেন, নদীর পানি ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ায় গতকাল সকাল থেকে তারা সরকারি রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছেন। নদীর পানি আরও বাড়ছে এবং এখন তাদের ঘরে গলা পানি।

সদর উপজেলায় ধরলা নদীরপাড়ে শিবেরকুটি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৫৫) বলেন, আমন বীজতলা আর বাদাম খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। গতকাল কোনো রকমে বাড়িতে ছিলেন কিন্তু আজ ভোরে পানি খাটের উপরে উঠে গছে। তাই পরিবারের সদস্য আর গবাদিপশু নিয়ে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। চরাঞ্চল থেকে পানিবন্দি লোকজনকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসা হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে। আজ থেকে পানিবন্দি বাসিন্দাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করা হয়েছে। যেখানে যা প্রয়োজন সেভাবেই বিতরণ করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

5h ago