সিলেট-সুনামগঞ্জে পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যা

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই জেলার অনেকাংশে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল, পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই দুই জেলার অনেকাংশে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত করেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চল, পানিবন্দি হয়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং আজ শনিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ শহর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে শহরের কাজিরপয়েন্ট, রিভারভিউ, উকিলপাড়া এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দোয়ারাবাজার উপজেলায় প্রবল স্রোতে সুরমা নদীর পাড়ে ভাঙনও দেখা দিয়েছে।’

সিলেটে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ ছাড়াও, জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলায় নদীর পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ শহীদুজ্জামান সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলায় বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে, অমলসিদে এখনো ৮২ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। এ ছাড়াও, সারিঘাট পয়েন্টে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জের নিম্নাঞ্চল। কিছু জায়গায় পানি দ্রুত বাড়ছে আবার কিছু অঞ্চলে পানি কমছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।’

পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

গোয়াইনঘাট উপজেলার পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দিতে একটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও ৬০টি স্কুলকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুস সাকিব।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে। তবে, করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।’

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ৩৫টি স্কুলকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago