ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হবিগঞ্জের ২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হবিগঞ্জের দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বানিয়াচং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের মামলার প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন আখ্যায়িত করে দ্রুত মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা।

মামলার প্রতিবাদে শনিবার বেলা ১২টায় টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, হবিগঞ্জের ব্যানারে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. এমদাদুল ইসলাম সোহেল বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মৎস্য কর্মকর্তার দায়ের করা মামলাটির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অবিলম্বে এই মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেব। হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাসেল চৌধুরী বলেন, অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মৎস্য কর্মকর্তা এই মামলা করেছেন বলে আমরা মনে করি। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।

টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন হবিগঞ্জের সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম সুরুজ আলীর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির, সাবেক সভাপতি রুহুল হাসান শরীফ, শুয়েব চৌধুরী, মোহাম্মদ নাহিজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দুই শতাধিক সাংবাদিক। কয়েকটি সামাজিক সংগঠনও এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম। এতে মাছরাঙা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ ও বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জেলা সংবাদদাতা বদরুল আলমসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্তের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠিয়েছেন আদালত।

মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম এক কর্মস্থলে দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন, এমন অভিযোগ এনে এবং প্রতিকার চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিল স্থানীয় লোকজন। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। পরে হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন আলম। কিন্তু এখতিয়ার বহির্ভূত হওয়ায় মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। পরবর্তীকালে তিনি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

11h ago