৫ দফা দাবিতে বারডেমে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

চাকরি স্থায়ীকরণ ও সব চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী চিকিৎসকরা।
বারডেমে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। ছবি: সংগৃহীত

চাকরি স্থায়ীকরণ ও সব চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের অস্থায়ী চিকিৎসকরা।

আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে তারা এই কর্মসূচি শুরু করেন। যা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে কর্মসূচিতে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, ‘আমরা বারডেমের মহাপরিচালকসহ কর্তৃপক্ষের কাছে এসব দাবি তিন মাস আগে থেকেই করে আসছি। কিন্তু, তারা এসবে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তবুও আমরা রোগীদের সেবা দিতে পিছপা হইনি। আমাদেরকে যেসব পিপিই দেওয়া হয়েছে, সেগুলো ধুয়ে তিন থেকে চার বার করে ব্যবহার করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের ১৫-২০ জন চিকিৎসক এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ বারডেম কর্তৃপক্ষ কাউকে চিকিৎসা পর্যন্ত দিচ্ছে না।’

‘তাদের কয়েকজন বলছে, তারা আমাদেরকে এগুলো দিতে পারবে না। তাদের ইনকাম নেই, টাকা নেই। আমাদেরকেই বারডেম দেখতে হবে। এরপরও আমরা বিভিন্নভাবে তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করি। (অস্থায়ী) যারা জীবন-ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, অন্তত তাদের চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়ার কথাও আমরা তাদের বলেছি। কিন্তু, তারা এসব মানতে নারাজ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে দিনকে দিন ঝুঁকি আরও বাড়ছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল কাউন্সিলসহ বেশ কয়েকটি মিটিং হয়েছে। কিন্তু, কোথাও আমাদের দাবিগুলো আমলে নেওয়া হয়নি। আমরা কয়েকবার তাদের আল্টিমেটাম দেই। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি গ্রাহ্য করছে না। এই অবস্থায় আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে কর্মসূচি পালন করছি’, বলেন তিনি।

তাদের দাবিগুলো হলো— বৈষম্যমূলক আরএমও পোস্ট বাতিল করে সকল অস্থায়ীভাবে নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের (আরএমও, এমও এবং সহকারী রেজিস্ট্রার) চাকরি স্থায়ী করতে হবে; সকল চিকিৎসকদের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী নিশ্চিত ও চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়ভার বারডেমকে নিতে হবে; কর্তব্যরত চিকিৎসকদের এবং তাদের পরিবারের জন্য কোভিড টেস্ট এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে; রোগী ভর্তির পূর্বেই করোনা টেস্টের মাধ্যমে কোভিড/নন-কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য আলাদা লিখিত নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে এবং বারডেমে কর্তব্যরত থাকাকালীন কোনো চিকিৎসকের করোনায় মৃত্যু হলে এককালীন ১০ লাখ টাকা প্রণোদনা দিতে হবে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘যারা কর্মবিরতি পালন করছেন, তারা বারডেমে ট্রেইনি হিসেবে আছেন। তারা আমাদের স্থায়ী কর্মী নন। এখন তারা চাকরি চাচ্ছেন। এখন ট্রেইনিদের ক্ষেত্রে আমরা কখনো স্থায়ী করি, আবার কখনো করি না। তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়মেই হবে। সবাইকে তো আমরা চাকরি দিতে পারব না। এখন তারা যদি এখানে (বারডেমে) ট্রেইনিং করতে না চায়, তারা চলে যেতে পারে।’

চিকিৎসকদের এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস’ সেফটি, রাইটস অ্যান্ড রেস্পন্সিবিলিটিজ (এফডিএসআর)। সংগঠনটির যুগ্ম সম্পাদক ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করে বলেন, ‘তাদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে আমরা এফডিএসআর একাত্মতা ঘোষণা করছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago