সুনামগঞ্জে বিশুদ্ধ পানির সংকট
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে অনেক এলাকায়।
ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দূর করতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
গতকাল ভোর থেকে হঠাৎ ভারতীয় পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গত মানুষকে সহায়তা দিতে সরকারের পক্ষ থেকে নগদ টাকা ও চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়। বিভিন্ন স্থানে টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়।
সুনামগঞ্জ জেলা শহরের মল্লিকপুর এলাকার আব্দুল কালাম বলেন, ‘আমাদের টিউবওয়েল পানির নিচে। জমানো কিছু পানি ছিল, সেটা দিয়েই চলছে। আজ রাতে যদি পানি না পাই। তাহলে পরিবারসহ বড় বিপদে পড়ে যাব।’
কালামের প্রতিবেশী জিসান মিয়া বলেন, ‘ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব যেকোনো সময় হতে পারে। এজন্য সবকিছু নিয়ে বড় বিপদে আছি। পৌরসভাকে জানাচ্ছি কিন্তু কোনো খবর পাচ্ছি না।’
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, ‘পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা নেই সেখানে আমরা অস্থায়ী টিউবওয়েল স্থাপনের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা করছি।’
প্রতি উপজেলায় ২০ হাজার পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট রয়েছে। এ ছাড়া, সুনামগঞ্জ পৌর এলাকায় ১০ হাজার পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে।
পানি সংক্রান্ত যেকোনো অসুবিধায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সবিবুর জানিয়েছেন, ‘সুনামগঞ্জে আগামী দুদিনের মধ্যে বন্যার পানি কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং বাড়তে পারে।’
Comments