২৪১০ টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছিল ৩৬০০ টাকায়

চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড

চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে ২৪১০ টাকার প্রতি কেজি এলাচ কিনে বিক্রি হচ্ছিল ৩৬০০ টাকায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর শুনে দাম কাটা-ছেঁড়া করলেও হাতেনাতে ধরা পড়ে জরিমানা গুনতে হলো ব্যবসায়ীদের।

আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য ও মসলার দাম স্থিতিশীল রাখতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ অভিযান চালিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দাম বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। বেশি দামে মসলা বিক্রি, মূল্য তালিকায় হেরফের ও ঘষামাজা করার অপরাধে চার জন ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মেসার্স নারায়ণ ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা, মেসার্স চিটাগং ফ্রেন্ডস ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, আল্লাহর দান স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, মেসার্স অনিল দেব স্টোরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উমর ফারুক বলেন, খাতুনগঞ্জ বাজারে অভিযানে বেশ কয়েকটি মসলার আড়তে লেনদেন সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। অভিযানে কয়েকজন আড়তদারের টাঙিয়ে রাখা মূল্য তালিকা ও তাদের ক্রয় মূল্যে বড় ধরনের পার্থক্য পাওয়া যায়।

ওমর ফারুক বলেন, ‘২৪১০ টাকার এলাচি ৩৬০০ টাকার উপরে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গেছে।

তিনি আরও বলেন, অনেক ব্যবসায়ী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের টাঙানো মূল্য তালিকা ঘষামাজা করেন যা তাৎক্ষণিক নজরে আসে।

এছাড়া ২৪০ টাকার দারুচিনি ৩৭০-৪০০ টাকা পর্যন্ত, গোল মরিচ ৪২০ টাকা থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত, লবঙ্গ ৬৮০ টাকা পর্যন্ত, ২৭৫ টাকার জিরা ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা যায়, বলেন তিনি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছেন যারা ঈদকে সামনে রেখে মসলা জাতীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। তাই বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এ অভিযান  পরিচালনা করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English

ICT case: Hasina charged with crimes against humanity

ICT prosecution pressed formal charges against Sheikh Hasina in a case filed over crimes against humanity committed during July mass uprising

56m ago