৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ

৪৩তম বিসিএস
ফাইল ফটো

৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল আজ মঙ্গলবার দেওয়া হবে। সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তারা গতকাল রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, আজ বিকাল ৩টায় কর্ম কমিশনের একটি বৈঠক আছে। ওই বৈঠকেই ৩৮তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল অনুমোদন দেওয়া হবে।

এরপরই পিএসসির ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হবে। দুই হাজার ২৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগের কথা থাকলেও ২৪০টি পদ বাড়িয়ে ফলাফল প্রকাশের কথা রয়েছে।

২০১৭ সালের ৫ মার্চ চাহিদা ৩৮তম বিসিএসের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য পাঠিয়েছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ২০ জুন এই নিয়োগের জন্য ৩৮তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। কিন্তু, তিন বছরেও ফলাফল প্রকাশ হয়নি। মার্চে করোনো শুরুর পর সেই অপেক্ষা আরও বাড়ে। চূড়ান্ত ফলের অপেক্ষায় থাকা নয় হাজারেরও বেশি প্রার্থী হতাশ হয়ে পড়েন। এ বছরের ৪ জুন এ নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের অনলাইন ও পত্রিকায় দুটি সংবাদও প্রকাশিত হয়।

৩৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশের দীর্ঘসূত্রতার কারণ হিসেবে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘গত বছরের জুলাইতে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার পর নয় হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থীর ভাইভা নিতে হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। আমরা মার্চের শেষ বা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ফল প্রকাশের লক্ষ্য সামনে রেখে কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু, করোনার লম্বা ছুটিতে আটকে যায় সেই ফল। সীমিত আকারে অফিস আদালত খোলার পর ঝুঁকি নিয়েই ফলাফল তৈরির কাজ শুরু হয়।’

পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, করোনার মধ্যেও ফলাফল তৈরির জন্য পিএসসির সদস্য ফজলুল হককে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটির সদস্যরা গত প্রায় এক মাস কাজ করে ফলাফল চূড়ান্ত করেন। ২০১৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৩৮তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তিন লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮ প্রার্থী আবেদন করেন। ২০১৮ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। তাতে উত্তীর্ণ হন ১৬ হাজার ২৮৬ জন। ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট এই বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২০১৯ সালের ১ জুলাই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলে সেখানে পাস করেন নয় হাজার ৮৬২ জন। বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশে দীর্ঘ সময় লাগার এটি নতুন রেকর্ড।

এ বিষয়ে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘অনেক সময় দেখা যায় অনেক যোগ্য প্রার্থী কম নম্বর পেয়েছেন। পরীক্ষকের অবহেলায় কোনো যোগ্য প্রার্থী যেন বঞ্চিত না হন, সেজন্য ৩৮তম বিসিএসে প্রথমবারের মতো দুই জন নিরীক্ষক দিয়ে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু, বিপুলসংখ্যক পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, দুই নিরীক্ষকের মধ্যে নম্বরের ব্যবধান অনেক বেশি। তখন আবার তৃতীয় পরীক্ষক দিয়ে সেই খাতা মূল্যায়ন করতে হয়েছে। ফলে লিখিতের ফল দিতেই এক বছর লেগে গেছে, দেরির কারণ এটিই। তবে, এর ফলে যোগ্যরাই শেষ পর্যন্ত চাকরি পাবেন। কেউ আর বঞ্চিত হবেন না।’

লিখিত পরীক্ষাল ফল প্রকাশের পর গত বছরের ২৯ জুলাই থেকে ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। নয় হাজার প্রার্থীর ভাইভা নিতে লাগে আট মাস। চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সেই মৌখিক পরীক্ষা শেষ হয়। এরপর থেকে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের যে অপেক্ষা শুরু হয়েছিল, তা আজ শেষ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Baitul Mukarram to host five Eid jamaats

Prayer times: 7am, 8am, 9am, 10am, 10:45am

15m ago