ক্লপের বিশ্বাস, বড় সাইনিং ছাড়াই শীর্ষে থাকতে পারবে লিভারপুল

ফাইল ছবি: এএফপি

৩০ বছর পর আবারও লিগ শিরোপার স্বাদ পেয়েছে লিভারপুল। দারুণ সাফল্য দেখানো দলটি আর্থিকভাবেও বেশ লাভবান হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে অঙ্কটা খুব হতে পারেনি। আগামী দিনগুলোতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো আর্থিক সমস্যা এড়াতে এবার বড় কোনো সাইনিং করাচ্ছে দলটি। প্রায় বর্তমান স্কোয়াড নিয়ে আগামী ফের মাঠে নামবে তারা। আর এ দল নিয়েই শীর্ষে থাকা সম্ভব বলে মনে করেন দলের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

অথচ মৌসুম জুড়ে বেশ কিছু বড় তারকা খেলোয়াড় লিভারপুলে যোগ দিচ্ছেন বলেই গুঞ্জন ছিল চড়া। কিন্তু ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর এখনও তেমন কিছুই দেখা যায়নি। যাদের নিয়ে গুঞ্জন ছিল অন্য ক্লাবে যোগ দিচ্ছেন। আরবি লাইপজিগের ফরোয়ার্ড টিমো ভের্নার যোগ দিয়েছেন চেলসিতে। নাপোলির ডিফেন্ডার কালিদু কোলিবালি যোগ দিতে যাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। অন্যদিকে ক্লাব থেকে জর্দান শাকিরি ও অ্যাডাম লালানা চলে যাচ্ছেন।

মূলত করোনাভাইরাসের কারণেই ট্রান্সফার মার্কেটে বড় প্রভাব পড়েছে। তিন মাসের বেশি সময় ফুটবল বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হলেও এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখনও নির্মূল হয়নি। আগামী দিনগুলোর কথা এখন অজানা। যে কারণে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছে না লিভারপুল। সবশেষ বড় ট্রান্সফার তারা করেছিল ২০১৮ সালে। এএস রোমা থেকে ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ডে অ্যালিসন বেকার কে এনেছিল দলটি।

'করোনাভাইরাস ক্লাবের ভেতরে ও বাইরে প্রভাব ফেলেছে, যেটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার এবং এটি সম্ভবত সবচেয়ে ব্যস্ত গ্রীষ্ম হবে। তবে হয়তো বছরের শেষ দিকে যখন আবার ট্রান্সফার উইন্ডো খুলবে তখন আমরা আরও বেশি জানতে পারব। তবে বর্তমান স্কোয়াড... তাকিয়ে দেখেন। এটা এমন স্কোয়াড না যেখানে আপনার পরিবর্তন করতে হবে এবং হ্যাঁ বলতে পারেন এই পজিশনে, এই পজিশনে পরিবর্তন করা যেতে পারে।' - বর্তমান দলের উপর আত্মবিশ্বাস রেখে এমনটাই বলেছেন ক্লপ।

তবে চাইলে মিলিয়ন মিলিয়ন খরচ করতে পারেন তারা। কিন্তু তার চেয়ে খেলোয়াড়দের মাঝ থেকে ভালো কিছু বের করা আনাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ক্লপ, 'আমরা মিলিয়ন মিলিয়ন খরচ করতে পারি কারণ আমরা তাই চাই এবং ভাবি এতে ভালো হবে। কিন্তু আমরা এটা চাই না। আপনার সৃজনশীল হতে হবে এবং আমাদের আরও সৃজনশীল হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতে হবে এবং এখনও অনেক কিছু বাকি আছে। আমাদের তিন বা চার জন খেলোয়াড় রয়েছে যারা বড় পদক্ষেপ নিতে পারে।'

আড়াই যোগ পর ফের শিরোপা জেতানোর পর এখনই ক্লপের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন অনেকেই। তবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের উদাহরণ টেনে এসব চাপ উড়িয়ে দেন এ জার্মান কোচ, 'আমি লোকদের বলতে শুনছি যে আমরা যদি পর পর দুবার জিততে পারি তাহলেও কেবল আসল জিনস হবে। তবে এটা সত্যিই মজার। এটা সম্ভবত একটি ইংলিশ জিনিস। যখন আমি (বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে) ২০১১ সালে চ্যাম্পিয়ন হলাম কেউ আমাকে তখন বলেনি আমাকে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেখাতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
election before ramadan 2026 in Bangladesh

Election could be in February, Yunus indicates

He said it will be possible if preparations completed, sufficient progress made in reforms and judicial matters

6h ago