বাঁশখালিতে আরও একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে বৈলছড়ি এলাকার একটা চা বাগানের ভেতর একটি বাচ্চা হাতি মরে যাওয়ার পাঁচদিন পর ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
সোমবার পূর্ব বৈলছড়ির চা বাগানে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা। মেয়ে বাচ্চা হাতিটির বয়স আনুমানিক ছয় থেকে সাত বছর।
এ নিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের অধীন কালিপুর রেঞ্জ এলাকায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মারা গেল তিনটি হাতি। প্রত্যেকটি ঘটনায় হাতি মারা যাওয়ার প্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন পর ঘটনাস্থলে গেছেন দক্ষিণ বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, হাতি মারা যাওয়ার খবর বনবিভাগকে দিলেও তারা সেটাকে গ্রাহ্য করেন না। হাতি মরে পচে গেলেই তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এটা দায়িত্বের চরম অবহেলা।
এর আগে জুন মাসের ১৩ তারিখ আরও একটি হাতির মৃত্যু ঘটে। সেটিও পচে যাওয়ার পর দক্ষিণ বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সৎকার করেন।
চট্টগ্রাম বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ) আবু নাসের মো. ইয়াসিন নেয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এটি খুবই উদ্বেগের যে এভাবে হাতি মারা যাচ্ছে।
‘এটি মেয়ে বাচ্চা হাতি। বয়স আনুমানিক ছয় থেকে সাত বছর। কী কারণে মারা গেছে সেটা তদন্ত করে দেখতে আমি একজন ভেটেরিনারি সার্জন পাঠিয়েছি’, বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বাঁশখালি উপজেলার কালিপুর রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার মো. আলাউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে হাতিটিকে হত্যা করা হয়েছে। হাতিটি মারা যাওয়ার দুই দিন পর আমরা খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটির সৎকার করা হয়েছে।
Comments