ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজানোর দায়ে বাবা গ্রেপ্তার

নিজের সন্তানকে অপহরণের নাটক সাজানোর দায়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবা মোক্তার হোসেনকে (৩৬)। ছেলেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে নিজের খালাতো বোনের বাড়িতে রেখে মিথ্যা অপহরণ ও মুক্তিপণের নাটক সাজিয়ে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগে মোক্তারর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
ছেলেকে অপহরণের নাটক সাজিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বাবা মোক্তার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নিজের সন্তানকে অপহরণের নাটক সাজানোর দায়ে শরীয়তপুরের জাজিরায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাবা মোক্তার হোসেনকে (৩৬)। ছেলেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জে নিজের খালাতো বোনের বাড়িতে রেখে মিথ্যা অপহরণ ও মুক্তিপণের নাটক সাজিয়ে ধোঁকা দেওয়ার অভিযোগে মোক্তারর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে চলমান এ অপহরণের ঘটনার রহস্য জেলা পুলিশ উদঘাটন করেছে। নয় বছরের ছেলেকে বোনের বাসায় রেখে অপহরণ নাটক সাজানোর মুল হোতা মোক্তার হোসেন জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় রূপবাবুর হাট থেকে ছেলে নাঈমকে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানায় মোক্তার। দুপুর আড়াইটার দিকে বাড়িতে এসে স্বজনদের সে জানায় যে তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে এবং অপহরণকারীরা ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করেছে।

এরপর, বিষয়টি মোক্তারের আত্মীয় রুবেল বেপারী জাজিরা থানায় জানায়। ঘটনার কথা জানতে পেরে পুলিশ সুপার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

নাঈমের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে বাবা মোক্তারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সাজানো অপহরণের কথা স্বীকার করেন। এভাবে সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি এঁটেছিলেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, এটি একটি সাজানো ঘটনা। এই পরিকল্পিত মিথ্যা অপহরণ ও গুমের ঘটনার কারণে মোক্তার হোসেন টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল।

এ ঘটনায় মোক্তারের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন ওসি আজাহারুল ইসলাম সরকার। শিশু নাঈম এখনও পুলিশের হেফাজতে আছে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago