বিভিন্ন লিগের ইংরেজি ধারাভাষ্যে জাতিগত পক্ষপাত দেখা গেছে: গবেষণা

arsenal black lives matter
ছবি: আর্সেনাল টুইটার

ইংরেজি ভাষাভাষী টেলিভিশন ধারাভাষ্যকাররা কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের চেয়ে শ্বেতাঙ্গদের বেশি বুদ্ধিমান এবং পরিশ্রমী হিসেবে প্রশংসা করে থাকেন। ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলারদের অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) সঙ্গে ডেনমার্কের প্রতিষ্ঠান রানরিপিটের একটি যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

ইতালিয়ান সিরি আ, ফরাসি লিগ ওয়ান, স্প্যানিশ লা লিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০১৯-২০ মৌসুমের ৮০টি ম্যাচের ইংরেজি ধারাভাষ্যের ২ হাজার ৭৩টি বক্তব্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে গবেষণাটিতে। সেখানে বিভিন্ন জাতিগত বৈশিষ্ট্যের ও গায়ের রঙের মোট ৬৭৩ জন ফুটবলারকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারদের প্রশংসা করার ক্ষেত্রে বুদ্ধিমান ও পরিশ্রমীর মতো শব্দগুলো কম ব্যবহার করেন ধারাভাষ্যকাররা। বরং শারীরিক বৈশিষ্ট্য ও ক্রীড়া বিষয়ক দক্ষতাকে বেশি গুরুত্ব দেন তারা। তাছাড়া, প্রশংসার শতকরা ৬২ ভাগ ছিল শ্বেতাঙ্গ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে এবং সমালোচনার শতকরা ৬৩.৩ ভাগ ছিল কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের প্রতি।

পিএফএ’র সমতা বিষয়ক নির্বাহী কর্মকর্তা জেসন লি বলেছেন, ‘কাঠামোগত বর্ণবাদের প্রকৃত প্রভাব মোকাবিলার জন্য আমাদেরকে প্রথমে স্বীকার করে নিতে হবে যে (ফুটবলে) বর্ণ বৈষম্য রয়েছে এবং তারপর এর সমাধান করতে হবে। ফুটবলারদের গায়ের রঙের উপর ভিত্তি করে তাদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করার ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে স্পষ্ট পক্ষপাত দেখিয়ে থাকি তা এই গবেষণাটিতে উঠে এসেছে।’

তিনি যোগ করেছেন, ‘ধারাভাষ্যকাররা প্রত্যেক খেলোয়াড় সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে নির্দিষ্ট রূপ দিতে সহায়তা করেন। দর্শকদের কেউ যদি আগে থেকে জাতিগত পক্ষপাতের ধারণা লালন করে থাকেন, তাহলে (এসব বক্তব্যে) তা আরও গাঢ় হয়। এই ধারণাগুলোর প্রভাব কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে এবং ফুটবলারদের ক্যারিয়ার শেষ হওয়ার পরেও কীভাবে এগুলো তাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে তা বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।’

গেল ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে জাতিগত বৈষম্যের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে যে প্রতিবাদ চলছে, তার মাঝেই প্রকাশিত হলো এই গবেষণাটি।

Comments

The Daily Star  | English

CAAB, Biman propose fee cuts to boost air cargo

The Civil Aviation Authority of Bangladesh (CAAB) and Biman have proposed reducing landing, parking, and ground handling charges at the country’s airports to make air cargo services cost-effective and resilient amid global disruptions.

6h ago