আজ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সিটি স্ক্যান করা হয়েছে

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এখনো শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে।

আজ গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফরহাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তারা বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বর্তমানে শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। আজ সকালে উঠে নাশতা করেছেন। মাথা ও বুকের সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে ঢামেক হাসপাতালে। আশা করছি আজকেই সিটি স্ক্যানের ফল পাব।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে ঢামেক হাসপাতালে যান গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আরমান। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঢামেক হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানোর পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সেখানে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হায়দার আকবর খান রনোকে দেখতে গিয়েছেন এবং তার সঙ্গে কথা বলেছেন। পরে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সেখান থেকে আবার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ফিরে এসেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।’

এর আগে, গতকাল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয়েছিল। গলার ইনফেকশনের কারণে তখন তার কথা বলতে বেশ কষ্ট হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘শরীরটা খুব ভালো না। খুব ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।’ সবার কাছে দোয়া চেয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো কাজ বাকি আছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়ে কেবল কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলাম, তখনই আবার দুর্বল হয়ে পড়লাম।’

‘আর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিট নিয়ে যা করা হচ্ছে, এতে আমি খুবই মর্মাহত। এসব কারণে মানসিক কষ্টেও আছি’, বলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার ও মো. ফরহাদ আরও জানান, অসুস্থতার কারণে অনেক আগে থেকেই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সিটি স্ক্যানের কথা বলা হচ্ছিল। কিন্তু, কোনোভাবেই তাকে রাজি করানো যায়নি। সেই অবস্থাতেই তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়ে আবার (করোনা থেকে) সুস্থও হয়েছেন। বর্তমানে তার ফুসফুসের সংক্রমণ খুব ধীর গতিতে ভালো হচ্ছে। আর গলার ইনফেকশনও রয়েছে। তাই এখনো তার কথা বলা নিষেধ।

উল্লেখ্য, গত ২৫ মে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে পরীক্ষাতেই তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পিসিআর পরীক্ষাতেও তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।

এরপর, গত ১২ জুন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত অ্যান্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। পরে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার ফলাফলেও তার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। তবে, ফুসফুসের সংক্রমণ, গলার ইনফেকশনসহ আরও কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে তিনি এখনো গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন:

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনামুক্ত

পিসিআর পরীক্ষাতেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা নেগেটিভ

‘আমি সুস্থ হয়ে উঠবো, সুস্থ হয়ে উঠতেই হবে’

‘আমি ভালো আছি’

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ

বিএসএমএমইউর পরীক্ষাতেও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা পজিটিভ

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এবারের উদ্যোগ ‘প্লাজমা ব্যাংক’

আমাদেরই সবার আগে এই কিট বিশ্ববাসীর সামনে আনার সুযোগ ছিল: ড. বিজন

২৫ দিনে ৩০১ শয্যার করোনা হাসপাতালের জন্ম অথবা অপমৃত্যু!

মুক্তিযুদ্ধ, গণস্বাস্থ্য, ডা. জাফরুল্লাহ ও মাছ চোর

Comments

The Daily Star  | English

BGMEA wants 3-month window from India to clear pending shipments

The association urges the interim government to send a letter to India seeking the opportunity

3h ago