সরকারের কোটি টাকার বালু বিক্রির অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

Bbaria_Sand_Corruption.jpg
ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রেলওয়ের বালু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সীর বিরুদ্ধে। ছবি: স্টার

রেলসেতু নির্মাণের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা নদী খনন করে প্রায় ৫০ লাখ ঘনফুট বালু মজুদ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রেলওয়ের সেই বালু বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সীর বিরুদ্ধে। তিনি আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক।

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্ভেয়ার ফারুক হোসেন বাদী হয়ে হানিফ মুন্সীসহ ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।

এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেলওয়ের মালিকানাধীন আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন ও স্থানীয় খাদ্যগুদামের মধ্যবর্তী সাড়ে ৯ একর জমিতে বালু মজুদ করা হয়েছিল। বালু বিক্রি করতে ২০১৯ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে নিলাম আহ্বান করে রেলওয়ে। তাতে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা নির্বাচিত হন হানিফ মুন্সী। অনিবার্য কারণে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর নিলামটি বাতিল করা হয়। চলতি বছরের ১৫ জুন নিলাম বাতিলের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন হানিফ মুন্সী। এর তিন দিন পর থেকে হানিফ মুন্সীর ছেলে জনি মুন্সী এবং ভাতিজা রনি মুন্সী ও চঞ্চল মুন্সী। মজুদ করা বালু বিক্রি শুরু করেন। পাইকারি বাজারে প্রতি ঘনফুট বালুর দাম চার টাকা। ইতোমধ্যে অর্ধেকের বেশি বালু বিক্রি করা হয়েছে। যার বাজার মূল্য কোটি টাকার বেশি।

সম্প্রতি ঘটনাস্থলে যানবাহনের চাকার ছাপ দেখে বোঝা যায়, ওই এলাকায় নিয়মিত ট্রাক ও ট্রাক্টর চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিংহভাগ বালুই বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বালু কেনার সময় ক্রেতাদের মিজান কনস্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের রশিদ দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে মামলা বিচারাধীন। কিন্তু বালু চুরি বন্ধ হয়নি।’

বালু বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সী। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রিটের শুনানি হলে আদেশ আমার পক্ষেই আসবে। আদেশ পেলে বালু বিক্রি করতে পারবো।’

Comments

The Daily Star  | English

Police struggle as key top posts lie vacant

Police are grappling with operational challenges as more than 400 key posts have remained vacant over the past 10 months, impairing the force’s ability to combat crime. 

10h ago