জুভেন্টাসের জয়ে আবারও রোনালদো-দিবালার লক্ষ্যভেদ
দুর্দান্ত ছন্দে আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কম যাচ্ছেন না পাওলো দিবালাও। ইতালিয়ান সিরি আতে মাঠে নামলেই গোল পাচ্ছেন দুই তারকা। তাদের কাঁধে চড়ে ছুটছে জুভেন্টাসের জয়রথও।
শনিবার রাতে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় তোরিনোকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ইতালির শীর্ষ লিগের টানা আটবারের চ্যাম্পিয়নরা। মাউরিজিও সারির দলের হয়ে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন হুয়ান কুয়াদ্রাদোও। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে ফের চালু হওয়া সিরি আতে চার ম্যাচ খেলে সবকটিতে জয়ের স্বাদ নিল জুভেন্টাস। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড রোনালদো ও আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড দিবালাও টানা চতুর্থ ম্যাচে পেলেন জালের দেখা।
স্কোরলাইনে একতরফা ম্যাচের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠলেও তোরিনো একেবারে খারাপ খেলেনি। জুভেন্টাসের ২১টি শটের বিপরীতে তারা নিয়েছে ১২টি শট। স্বাগতিকদের সাতটি শট ছিল লক্ষ্যে, অতিথিদের ছয়টি। বল দখলের লড়াইও ছিল প্রায় সমানে সমান, জুভেন্টাস ৫১.৫ শতাংশ ও তোরিনো ৪৮.৫ শতাংশ। কিন্তু রোনালদো-দিবালাদের দক্ষতার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পয়েন্ট তালিকার ১৫ নম্বরে থাকা দলটি।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় জুভরা। কুয়াদ্রাদোর পাসে ডি-বক্সের ভেতরে প্রতিপক্ষের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁ পায়ের মাপা শটে লক্ষ্যভেদ করেন দিবালা। চলতি আসরে এটি তার ১১তম গোল।
অসাধারণ এক পাল্টা আক্রমণে ২৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কুয়াদ্রাদো। তোরিনোর কর্নার প্রতিহত করার পর এক সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে যান দিবালা। নিজেদের অর্ধে তিনি পাস দেন রোনালদোকে। তিনি বল টেনে নিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের ভেতরে খুঁজে নেন কলম্বিয়ান উইঙ্গার কুয়াদ্রাদোকে। ডান পায়ের কোণাকুণি শটে তোরিনো গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। সফল স্পট-কিক থেকে ইতালিয়ার শীর্ষ লিগে ৬৪৮তম ম্যাচ খেলতে নামা জিয়ানলুইজি বুফনকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান আন্দ্রেয়া বেলোত্তি। জাল অক্ষত রাখতে না পারলেও এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে সিরি আতে প্রায় ১১ বছর ধরে টিকে থাকা পাওলো মালদিনির রেকর্ড ভেঙে নিজের করে নেন অভিজ্ঞ এই গোলরক্ষক। প্রতিযোগিতাটির ১২২ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়েন বুফন। কিংবদন্তি সাবেক ডিফেন্ডার মালদিনি খেলেছিলেন ৬৪৭ ম্যাচ।
৬১তম মিনিটে দারুণ এক ফ্রি-কিকে চলতি আসরে নিজের ২৫তম গোলের স্বাদ নেন রোনালদো। ২০১৮ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম ফ্রি-কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করলেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। ২৯ গোল করে তার সামনে আছেন কেবল লাৎসিওর চিরো ইম্মোবিলে।
৮৭তম মিনিটে কোফফি জিজি নিজেদের জালেই বল পাঠালে বড় জয় নিশ্চিত হয় জুভেন্টাসের। বাঁ প্রান্ত থেকে দানিলোর ক্রস ফেরাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন তোরিনোর এই বদলি ডিফেন্ডার।
এই জয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার দৌড়ে আরও এগিয়ে গেল জুভরা। ৩০ ম্যাচ শেষে তাদের অর্জন ৭৫ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা নিকটবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী লাৎসিওর পয়েন্ট ৬৮। সমান ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্টার মিলান।
Comments