মৃত্যু ৫ লাখ ৩০ হাজার, আক্রান্ত প্রায় ১ কোটি সাড়ে ১২ লাখ

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি সাড়ে ১২ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬০ লাখ মানুষ।
ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী। ২৫ জুন ২০২০। ছবি: রয়টার্স

বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। ইতোমধ্যে পাঁচ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় এক কোটি সাড়ে ১২ লাখ। এ ছাড়া, সুস্থও হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৬০ লাখ মানুষ।

আজ রোববার জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার এ তথ্য জানিয়েছে।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ৯৪৩ জন এবং মারা গেছেন পাঁচ লাখ ৩০ হাজার ১৩৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৬০ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৫ জন।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৪৩৬ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ২৯ হাজার ৬৭৬ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন আট লাখ ৯৪ হাজার ৩২৫ জন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭৭ হাজার চার জন, মারা গেছেন ৬৪ হাজার ২৬৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন নয় লাখ ৯০ হাজার ৭৩১ জন।

মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে তৃতীয়তে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২৮৩ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৮৬ হাজার ৪১২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৭৫ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে রাশিয়া, পেরু ও চিলিতেও। রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৭৩ হাজার ৫৬৪ জন এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ১১ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৪৬ হাজার ১২৭ জন। পেরুতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৯ হাজার ৮০ জন এবং মারা গেছেন ১০ হাজার ৪১২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮৯ হাজার ৬২১ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯১ হাজার ৮৪৭ জন এবং মারা গেছেন ছয় হাজার ১৯২ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৪৫১ জন।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৪৮ হাজার ৩১৫ জন, মারা গেছেন ১৮ হাজার ৬৫৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৯৪ হাজার ২২৭ জন।

ইউরোপের দেশ স্পেনে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫০ হাজার ৫৪৫ জন, মারা গেছেন ২৮ হাজার ৩৮৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫০ হাজার ৩৭৬ জন। ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪১ হাজার ৪১৯ জন, মারা গেছেন ৩৪ হাজার ৮৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯১ হাজার ৯৪৪ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ২২২ জন, মারা গেছেন ২৯ হাজার ৮৯৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৭ হাজার ১৮৫ জন। জার্মানিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৯৭ হাজার ১৯৮ জন, মারা গেছেন নয় হাজার ২০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৮১ হাজার জন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮ জন, মারা গেছেন ১১ হাজার ৪০৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৯৮ হাজার ৯৪৯ জন। তুরস্কে আক্রান্ত হয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ৬১০ জন, মারা গেছেন পাঁচ হাজার ২০৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৭৯ হাজার ৪৯২ জন।

ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৮৫৭ জন, মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৪১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৭৯ হাজার ৭০৬ জন।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক লাখ ৫৯ হাজার ৬৭৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন এক হাজার ৯৯৭ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ৭০ হাজার ৭২১ জন।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka's water crisis: Rapidly falling groundwater level raises fear for freshwater crisis, land subsidence; geoscientists decry lack of scientific governance of water

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

15h ago