সিআইডির ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাব

সাইবার অপরাধ ঠেকাতে একটি ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাবনা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। থানার অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবনাটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহবুবুর রহমান।
Bangladesh Police Logo

সাইবার অপরাধ ঠেকাতে একটি ‘সাইবার থানা’ স্থাপনের প্রস্তাবনা দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। থানার অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবনাটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মাহবুবুর রহমান।

অনুমোদন পেলে, রাজধানীতে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারে দেশের প্রথম সাইবার থানা স্থাপিত হবে বলে ঢাকায় সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রয়োজনে থানার সংখ্যা পরে বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সাইবার অপরাধে এ থানায় মামলা করতে পারবেন। সাইবার অপরাধ দমনে দক্ষ পুলিশ সদস্যরা মামলাগুলো পরিচালনা করবেন।’

সিআইডি প্রধান জানান, সাইবার থানা মামলার তদন্ত করবে, তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করবে এবং আদালতে জমা দেবে।

তবে থানার লোকবল এবং থানা স্থাপনে কী পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হবে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দেননি তিনি।

জেলা পর্যায়ে সিআইডি অফিস সম্প্রসারণ

দেশের সবগুলো জেলায় সিআইডির দপ্তর খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে সিআইডির কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে ডিআইজি মাহবুবুর রহমান জানান।

তিনি বলেন, জেলায় পুলিশ সুপার (এসপি) বা অতিরিক্ত এসপি পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা সিআইডি-র প্রধান হিসেবে থাকবেন। তিনি এর পরিচালনা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম দেখাশোনা করবেন। জেলা প্রধান হিসেবে সিআইডি-র হাতে থাকা মামলা তদন্তের তদারকিও তিনি করবেন।

আদালত, পুলিশ সদর দপ্তর ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সিআইডি বর্তমানে ২২ ধরণের মামলার তদন্ত করে থাকে। এর মধ্যে আছে অর্থ-পাচার, মানব পাচার, সংগঠিত অপরাধ ও চাঞ্চল্যকর হত্যার মতো অপরাধ।

‘বর্তমানে পুলিশ এই ইউনিট সারাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার ৮১১টি মামলার তদন্ত করছে। সেগুলোর ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ হত্যা,’ সিআইডি প্রধান জানান।

তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তাধীন প্রায় ৮২ শতাংশ মামলার চার্জশীট সিআইডি জমা দিয়েছে এবং মাত্র ২৪ শতাংশের সাজা হয়েছে।’

‘দোষীদের সাজা হওয়ার ক্ষেত্রে ফোঁকর খুঁজে বের করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর পেছনের কারণ মূল্যায়ন করতে ইতিমধ্যে পেশাদার আইন বিশেষজ্ঞদের একটি দলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে,’ তিনি বলেন।

সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান বলেন, মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে, অভিযুক্তকে দোষী না করার কারণ সম্পর্কে মতামত প্রকাশ করে, তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে আমার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা।’

সিআইডি প্রধান বলেন, বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মামলার রায় মৌখিক প্রমাণের ভিত্তিতে এবং ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মামলার রায় ফরেনসিক প্রমাণাদির ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Indian Padma Vibhushan industrialist Ratan Tata dies at 86

Ratan Tata passes away

India’s top industrialist and Tata Sons Chairman Emeritus Ratan Tata died in a hospital in Mumbai last night, the company said.

4h ago