বার্সাগেট: মেসিদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালায়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ

messi and bartomeu
ফাইল ছবি: এএফপি

অভিযোগ উঠেছিল মাস চারেক আগে। যেন-তেন নয়, গুরুতর। স্পেনের একটি রেডিও স্টেশন দাবি করেছিল, ক্লাবের উপর সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারের স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান অধিনায়ক লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে সাবেক কোচ পেপ গার্দিওলার বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে বার্সেলোনা!

এমন খবরে নড়েচড়ে বসেছিল ফুটবলবিশ্ব। স্প্যানিশ গণমাধ্যমে এই কেলেঙ্কারির অভিযোগের একটা গালভরা নামও দেওয়া হয়েছিল- ‘বার্সাগেট’। আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতেই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছিল কাতালান দলটির কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি বেগতিক হওয়ায় একপর্যায়ে তারা নিরপেক্ষ তদন্ত ও নিরীক্ষার ব্যবস্থা করতে বাধ্য হয়।

‘প্রাইস ওয়াটারহাউজ কুপারস’ অবশ্য গণমাধ্যমের অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি। তদন্ত ও নিরীক্ষা শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে, বার্সেলোনা বোর্ড কোনো নেতিবাচক প্রচারণা চালায়নি। অর্থাৎ কেলেঙ্কারির অভিযোগ থেকে মুক্তি মিলেছে তাদের। সোমবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে স্পেনের অন্যতম সেরা ক্লাবটি।

এসইআর কাতালুনিয়া নামের রেডিও স্টেশনটি গেল ফেব্রুয়ারিতে দাবি করেছিল, বর্তমান সভাপতি বার্তোমেউয়ের সুনাম রক্ষা করতে এবং যারা তার সঙ্গে একমত নন তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে ‘আই থ্রি’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া করেছে বার্সেলোনা। মেসি-গার্দিওলাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ফেসবুক ও টুইটারে কয়েক ডজন অ্যাকাউন্ট তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি জেরার্দ পিকে এবং দলটির কিংবদন্তি সাবেক তারকা জাভি হার্নান্দেজ ও কার্লেস পুয়োলকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে। মানহানির শিকার হওয়া থেকে বাদ পড়েননি সাবেক সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও।

তখন ‘আই থ্রি’র সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের কথা স্বীকার করলেও বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ বলেছিল, অ্যাকাউন্টগুলোর সঙ্গে ‘যেকোনো ধরনের সম্পর্ককে তারা চূড়ান্তভাবে অস্বীকার করে’।

‘প্রাইস ওয়াটার হাউজকুপারস’ও তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিভিন্ন পরিষেবার বিনিময়ে ‘আইথ্রি’কে বার্সা যে পরিমাণ অর্থ দিয়েছিল, তা সেসময়ের বাজারমূল্যের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল।

বিবৃতিতে বার্সেলোনা আরও জানিয়েছে, যারা ক্লাবের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং খেলোয়াড় ও স্টাফদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বোর্ড।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

2h ago