ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় গাছে
মৌলভীবাজারের রাজনগরে একটি বাগান থেকে গত ১২ জুন অজ্ঞাতনামা যে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। তবে হত্যার শিকার সেই তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।
আজ মঙ্গলবার মরদেহ উদ্ধারের ২৪ দিন পর মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, হত্যার মূল ক্লু উদ্ধার করে ছয় আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পর হত্যার কথা জানিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামিরা।
পুলিশ সুপার জানান, গত ১২ জুন সকালে রাজনগর উপজেলার চাঁনভাগ দক্ষিণ টিলা গ্রামে একটি বাগানের আকাশী গাছ থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর (১৮-২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে রাজনগর থানা পুলিশ। পরে মৌলভীবাজার সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত দল তদন্ত শুরু করে। গত ৪ জুলাই সন্দেহভাজন জমশেদ মিয়াকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।
তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জমশেদ স্বীকার করেছেন, একদিনের জন্য ২০০০ টাকার বিনিময়ে যৌনকাজে গত ১০ জুন সিলেটের হুমায়ুন রশিদ চত্বর থেকে শিপন মিয়া ও সালমা বেগম ওই তরুণীকে জমশেদ মিয়া, শেখ হুমায়ুন আহমদ, বাদশা খাঁ, জাহাঙ্গীর আলমের হাতে তুলে দেন। পরে একটি বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়। পরদিন রাতে যৌনকাজে অসম্মতি জানানোয় ওই নারীকে শিপন ও সালমার কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে জমশেদ, জাহাঙ্গীর, হুমায়ুন ও বাদশা তাকে পার্শ্ববর্তী টিলার বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। তারপর মরদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গাছে।
আসামি সালমা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধর্ষণ ও হত্যার শিকার সেই তরুণীর ছদ্মনাম সুমি বেগম। তবে তার কোনও ঠিকানা জানেন না।
পুলিশ জানায়, আসামি শেখ হুমায়ূন আহমদ ও আবুল কালাম আজাদ পলাতক আছেন। তাদের গ্রেপ্তারে আভিযান চলছে।
Comments