পটুয়াখালীতে সড়ক বিভাজন সবুজায়নের উদ্যোগ

পাখির আশ্রয়স্থল ও খাবার নিশ্চিত করতে পটুয়াখালী পৌর এলাকার সড়ক বিভাজন ও লেকগুলোর চারপাশ সবুজায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলজ-ওষধি গাছের পাশাপাশি সৌন্দর্যবর্ধনকারী দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ‘পৌর এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি গাছ লাগানো হবে।’
ইতোমধ্যে সরকারি মহিলা কলেজ থেকে শুরু করে শহরের জৈনকাঠী বাঁধ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক বিভাজনে বিদেশি প্রজাতির কয়েকটি গাছ লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া, শহরের বিভিন্ন লেক, পুকুরপাড় এবং পরিত্যক্ত জায়গাগুলোতেও নানা প্রজাতির গাছ লাগানো হচ্ছে। ফলজ গাছের মধ্যে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, নারিকেল, বটগাছ, জলপাই, আমলকি, তেঁতুল, কামরাঙ্গা, ডৌয়া, নিম ও চাম্বল লাগানো হয়েছে।
পটুয়াখালী ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর সিকদার বলেন, এক সময় পটুয়াখালী শহরের বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গাছ ছিল। এসব গাছে বক, শালিক, কাকসহ নানা প্রজাতির পাখির বাস ছিল এবং সকাল সন্ধ্যায় এদের কিচির-মিচির শব্দ শহরবাসীকে আনন্দ দিত। সেসব গাছ কেটে ফেলায় পাখিরা তাদের আশ্রয় হারিয়েছে, খাবার সংকটে পড়ছে। পৌর কর্তৃপক্ষ পাখিদের আশ্রয় ও খাবার সংস্থান নিশ্চিত করতে গাছ লাগানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবিদার।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ অ্যাসোসিয়েশন বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়কারী লিঙ্কন বায়েন বলেন, পরিবশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখিদের বিশেষ অবদান আছে। খাদ্য ও আশ্রয় সংকটে অনেক প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে। যান্ত্রিক জীবনের কঠোরতায় পাখিদের বিষয়টি কেউ ভাবে না। এ অবস্থায় পটুয়াখালী পৌর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগটি একটি দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পারে।
পটুয়াখালী পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন আরজু বলেন, পাখির আশ্রয় ও খাবার সংকট নিরসনে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাঁচ হাজারের বেশি গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
পটুয়াখালীর পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গাছগুলো বড় হলে পাখিরা তাদের আশ্রয়স্থল ফিরে পাবে। খাদ্য সংকট দূর হবে এবং মানুষও সুন্দর পরিবেশ পাবে।
Comments