‘গ্রামে চলে যাচ্ছেন অনেক সিনেমার মানুষ’

bfdc-1_0.jpg
করোনাকালে এফডিসি ফাঁকা। ছবি: সংগৃহীত

অভিনয় শিল্পীদের এক চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে রূপদান করান মেকআপ শিল্পীরা। তাদের ছোঁয়াতেই অভিনয় শিল্পীরা পর্দায় হাজির হন বিভিন্ন চরিত্রে। কিন্তু, গত চার মাস ধরে চলা করোনা মহামারিতে কাজ না থাকায় চলচ্চিত্রের মেকআপ শিল্পী ও প্রোডাকশন বয়েরা ভালো নেই। তাদের অনেকেই গ্রামে চলে গেছেন।

মেকআপ শিল্পী হিসেবে সেলিম মোহাম্মদ দীর্ঘ ৩৮ বছর কাজ করছেন সিনেমায়। অথচ করোনার মধ্যে প্রায় চার মাস বেকার কাটছে তার।

তিনি দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। কাজ না থাকার পরও প্রতি মাসে ঘর ভাড়া দিতে হচ্ছে। বাড়িওয়ালা একটা টাকাও কম রাখেনি। জমানো টাকাও প্রায় শেষ। ভবিষ্যতে অন্ধকার ছাড়া কিছু দেখছি না। ওই সাহায্যের টাকায় পরিবার নিয়ে পুরো মাস টিকে থাকা সম্ভব নয়।’

মেকআপ শিল্পী সবুজ খান ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘আমার তত্ত্বাবধানে কাজ করেন প্রায় ১৩ জন মেকআপ আর্টিস্ট। করোনায় প্রত্যেকেই বেকার হয়েছেন। গত চার মাস ধরে তারা প্রত্যেকেই আমার ববাসায় থাকছেন। কিন্তু, আর কতো দিন!’

মেকআপ শিল্পী আকাশ ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘প্রায় দুই মাস গ্রামে ছিলাম। গত মাসে ঢাকা ফিরে টুকটাক কাজ করছি। মেকআপম্যানরা ভালো নেই। কেউ কেউ গ্রামে ফিরে গেছেন।’

ফিল্ম মেকআপ আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসু আলম ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘অধিকাংশ মেকআপ আর্টিস্ট দৈনিক মজুরিতে কাজ করতেন। চার মাস শুটিং বন্ধ থাকায় কেউ ভালো নেই। তাদের একটি বড় অংশ ইতোমধ্যেই ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন।’

চলচ্চিত্রের প্রোডাকশন ম্যানেজার মো. জাকির ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘চলচ্চিত্রের অবস্থা কবে ঠিক হবে জানা নেই। অনেকেই পূর্বের প্রোডাকশনের বকেয়া পরিশোধ করতে পারছেন না। চলচ্চিত্রে ১৭৫ জন প্রডাকশন ম্যানেজার ও ২৮০ জনের মতো প্রোডাকশন বয় রয়েছেন। তাদের অধিংকাশই করোনার কারণে গ্রামে চলে গেছেন।’

Comments

The Daily Star  | English
eid-ul-azha emergency cases at pongu hospital

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

The hospital, formally known as NITOR, is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

1h ago