জমে উঠেছে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজার

স্বাদে অতুলনীয় আর মিষ্টি গন্ধের হাড়িভাঙ্গা আমের রয়েছে আলাদা চাহিদা। লালমনিরহাটে এবার অন্যান্যবারের চেয়ে এই আমের বাজার বেশ জমে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলার বাইরে আম পরিবহণ হয়েছে কম, তাই স্থানীয় বাজারে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজার বেড়েছে।
হাড়িভাঙ্গা আম নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ছবিটি আজ বুধবার (৮.৭.২০২০) বিকালে লালমনিরহাট শহরের বিডিআর গেট এলাকা থেকে তোলা। ছবি:এস দিলীপ রায়

স্বাদে অতুলনীয় আর মিষ্টি গন্ধের হাড়িভাঙ্গা আমের রয়েছে আলাদা চাহিদা। লালমনিরহাটে এবার অন্যান্যবারের চেয়ে এই আমের বাজার বেশ জমে উঠেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলার বাইরে আম পরিবহণ হয়েছে কম, তাই স্থানীয় বাজারে হাড়িভাঙ্গা আমের বাজার বেড়েছে।

লালমনিরহাটের বাজার আর রাস্তার ধারে হাড়িভাঙ্গা আম নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা।  ক্রেতারা ভিড় করছেন, কিনছেন নিজেদের পছন্দমতো।

আম কিনতে আসা নজরুল ইসলাম বলছিলেন, তার পরিবারের ছোট বড় সবাই এই আম খুব পছন্দ করেন। তাই আমের মৌসুমে হাড়িভাঙ্গা আমই সবচেয়ে বেশি কেনা হয়।

কথা হয় আরও কয়েক জনের সঙ্গে। তারা জানান, গেল বছরের তুলনায় এ বছর কেজিপ্রতি ৮-১০ টাকা কমে হাড়িভাঙ্গা আম পাওয়া যাচ্ছে। গতবছর এ সময় প্রতি কেজি আম ৪৫-৬০ টাকা দরে কিনতে হয়েছিল। তবে এ বছর সেই আম ৩৫ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর পছন্দমতো আকারের আমও মিলছে।

লালমনিরহাট শহরের মিশনমোড় এলাকায় আম কিনছিলেন মেরাজুল ইসলাম। তিনি জানালেন, পাকা আমের চেয়ে  কাঁচা আম ১৫-২০টাকা বেশি।

কারণ জানা গেল আরেক ক্রেতা সাব্বির হোসেনের কাছে, ‘দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মীয় স্বজনদের আম পাঠাতে হলে একটু কাঁচা থাকতেই পাঠাতে হয়। তাই বিক্রেতারাও পাকা আমের চেয়ে কাঁচা আম বেশি দরে বিক্রি করছেন।’

তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেকেই এবছর নিজেদের বাড়িতে অবস্থান করায় আম পাঠানোর পরিমাণ কমে গেছে বলে তিনি জানান।

লালমনিরহাট শহরের বিডিআর গেট এলাকার আম বিক্রেতা আরসাদ হোসেন বলেন, বাইরে আম পাঠানোর পরিমাণ কম, তাই তারা এ বছর হাড়িভাঙ্গা আমের ভালো ব্যবসা করতে পারছেন না। তবে স্থানীয় বাজারে হাড়িভাঙ্গার চাহিদা অনেক।  

আম ব্যবসায়ী সাহেদুল ইসলাম বলেন, তিনিসহ অনেক আম ব্যবসায়ী রংপুর থেকে আম নিয়ে আসেন লালমনিরহাটের বাজারে, দিনভর আম বিক্রি করেন। হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করতে এসে কোনদিন ফেরত নিয়ে যেতে হয়নি।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ৩০০ হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান আছে। প্রতিটি বাগান এক একর থেকে পাঁচ একর পর্যন্ত। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও হয়েছে আশানুরূপ।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বিশবাড়ি এলাকায় হাড়িভাঙ্গা আমের বাগান মালিক হবিবর রহমান বলেন, বাগানের আম বিক্রি করে গেল বছরের তুলনায় দাম কিছুটা কম পেয়েছেন এ বছর। তবে আম চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শামিম আশরাফ দ্য ডেইলী স্টারকে বলেন, বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলে হাড়িভাঙ্গা আম বাজার দখল করে নিয়েছে। গেল কয়েকবছর ধরে এ আমের প্রতি মানুষের চাহিদা বেড়েছে অনেকগুণ। আম চাষিদের কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়, কখন কীভাবে পরিচর্যা নিতে হবে সে ব্যাপারে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষি বিভাগের লোকজন কৃষকদের জানিয়ে থাকেন।

 

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago